টুকরো খবর |
ছুটি, সাফ হল না ভ্যাট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ছিঃ ছিঃ এত্তা...
|
পয়লা বৈশাখের ছুটিতে শহরে ইতস্তত জঞ্জাল। |
নববর্ষের ছুটি। ফলে ভ্যাট পরিষ্কার হল না বেহালার জেমস্ লং সরণিতে। রাস্তার পাশে ডাঁই হয়ে জমে ময়লার স্তূপ। ওই এলাকার বিধায়ক আবার কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। একই অবস্থা যাদবপুর, গার্ডেনরিচ-সহ পুরসভার কিছু সংযুক্ত এলাকাতেও। যদিও বিভিন্ন বাড়ির আবর্জনা তুলে আনার কাজে কাজে ঢিলেমি করেননি পুরকর্মীরা। কিন্তু ভ্যাটে ফেলার পর তা আর সাফাই হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুর কর্তাদের জানিয়েও কিছু হয়নি। এক পুর-আধিকারিকের কথায়, “শহরে মোট ৬৫০টি ভ্যাট রয়েছে। সংযুক্ত এলাকায় গুটিকয়েক ভ্যাটের জঞ্জাল তোলা হয়নি। ওই এলাকার জঞ্জাল তোলার ঠিকাদার নববর্ষের উৎসবে ব্যস্ত থাকায় এমন হতে পারে।” মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবব্রত মজুমদার বলেন, “এমন হওয়ার তো কথা নয়। নববর্ষের ছুটি বলে ভ্যাট পরিষ্কার হবে না? এটা তো জরুরি পরিষেবা।” তিনি দ্রুত বিষয়টি খোঁজ নেবেন বলে জানান।
|
ভাঙন রোধে গঙ্গার স্পার বাঁধানো শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
ভাগীরথীর ভাঙন রুখতে সাগরদিঘির ইসলামপুরে পাথর দিয়ে স্পার বাঁধানোর কাজ শুরু হল। রবিবার এই কাজের সূচনা করেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। ভাঙন প্রতিরোধ বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এক কিমি এলাকায় ভাঙন রোধের এই কাজের জন্য ৩কোটি ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছে।” সুব্রতবাবু বলেন, “গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইসলামপুরে ভাঙনে গ্রামের প্রধান সড়কের একটি বিরাট অংশ ধসে গিয়েছে। তাই বিশেষ তহবিল অনুমোদন করে স্পার বাঁধানোর কাজ শুরু হল।” ভাঙন কবলিত সাগরদিঘির পাটকেলভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের নারগিস পারভিন বলেন, “ভাগীরথী তীরবর্তী সাগরদিঘির বালিয়া, কাবিলপুর ও পাটকেলডাঙার চারটি জায়গায় ভাঙন পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেচ দফতরকে এ ব্যপারে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।”
|
চিতাবাঘ বন্দি বিন্নাগুড়িতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধূপগুড়ি |
সেনা ছাউনিতে ধরা পড়ল চিতাবাঘ। সোমবার ভোর নাগাদ বন দফতরের পেতে রাখা খাঁচায় সেটি ধরা পড়ে। দু’সপ্তাহ ধরে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনি দাপিয়ে দুটি ছাগল, কয়েকটি মুরগি শিকার করে চিতাবাঘটি। রাতে কখন হামলার মুখে পড়তে হয় সেই ভয়ে আতঙ্কে ছিলেন ছাউনির জওয়ানরা। এ দিন ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচায় চিতাবাঘটি বন্দি হলে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে। এই দিন ধরার পরে বনকর্মীরা এই চিতাবাঘটিকে গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেন। এ দিন খাঁচায় বন্দি পুরুষ চিতাবাঘটিকে দেখতে ভিড় জমে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। স্বস্তি ফিরে পেয়ে এক সেনা জওয়ান বলেন, “দু’বছরে ছাউনিতে তিন বার চিতাবাঘের হামলার ঘটনা ঘটল। কয়েক দিন আতঙ্কে ছাউনির প্রত্যেকে সন্ধ্যার আগে ঘরে ফিরত। বুনোটি ধরা পড়ায় দুশ্চিন্তা দূর হল।”
|
|
ছাগলের টোপে বন্দি। সোমবার ভোরে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে ধরা পড়ে এই চিতাবাঘটি। —নিজস্ব চিত্র। |
বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতে চিতাবাঘের হানা নতুন কিছু নয়। ছাউনির পেছন দিকে রেতি জঙ্গল। ছাগল, মুরগির মতো খাবারের লোভে জঙ্গল থেকে বার হয়ে ওই বুনোরা কাঁটাতারের বেড়া গলে ছাউনির ভিতরে ঢুকছে। । বন দফতরের বিন্নাগুড়ি এলিফেন্ট স্কোয়াডের রেঞ্জার সুভাষ বসু বলেন, “মাঝেমধ্যে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ছে দেখে ছাউনিতে খাঁচা রাখা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ছাগল, মুরগি শিকারের ঘটনার পরে ছাউনির সেনা জওয়ানরা নিজেরাই ওই খাঁচা পাতে। সেখানে চিতাবাঘটি ধরা পড়ে।” জওয়ানরা জানান, বন সংলগ্ন হওয়ায় ছাউনিতে হাতি ঢুকে পড়ার ঘটনাও ঘটছে।
|
চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার চা বাগানে
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার |
এক মাসের দুটি চিতাবাঘের শাবক উদ্ধার করলেন বন কর্মীরা। সোমবার দুপুর একটা নাগাদ ডুয়ার্সের সাতালি বাগনের ৪ নম্বর কর্ম্পাটমেন্টে কাজের সময় চা শ্রমিকরা চিতাবাঘের শাবক দুটি দেখতে পান। নীলপাড়া বিটের বিট অফিসার গোলি তামাং জানান, চা বাগানের নালা থেকে চিতাবাঘটির শাবক দুটি উদ্ধার করে বিট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে রাতে শাবক দু’টিকে ওই এলাকায় ছেড়ে দিয়ে আসা হবে। মা চিতাবাঘ শাবক দুটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। তা না হলে ফের শাবক দুটিকে বিট অফিসে নিয়ে আসা হবে।
|
বাঘের আক্রমণে জখম ৬ সংবাদসংস্থা • পটনা |
মাঠে শৌচ কার্যের সময় বাঘের আক্রমণে ছয় ব্যক্তি জখম হয়েছে। এই ঘটনায় বেতিয়ার চনপটিয়া ব্লকের সারসিয়া গ্রামে আতঙ্ক ছড়ায়। সোমবার ঘটনার পরে এলাকায় পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মীরা শিবির করে বাঘের খোঁজে নামেন। সন্ধ্যায় ডিএফও কমলজিৎ সিংহ বলেন, “বাঘটিকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাকে অজ্ঞান করে ব্যাঘ্র প্রকল্পে ফেরত নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” |
হাতির পাল বাঁকুড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি ও মেজিয়া থেকে দামোদর নদ পার হয়ে বর্ধমানের রানিগঞ্জ এলাকায় ঢুকে পড়া দলমার ৬০টি হাতির দল রবিবার রাতে ফের ঢুকে পড়েছে বাঁকুড়ায়। সোমবার দলটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে গঙ্গাজলঘাটি, মেজিয়া ও শালতোড়ার বিভিন্ন গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে। ফসল, বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি ও দুর্ঘটনা এড়াতে গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলেছে বন দফতর। গঙ্গাজলঘাটি রেঞ্জের আধিকারিক রমাপতি দণ্ডপাট বলেন, “শিঘ্রই দলটিকে বিষ্ণুপুর হয়ে দলমায় পাঠানোর কাজ শুরু করা হবে।” |
|