|
|
|
|
দোষী সাব্যস্ত পুণে হানার মূল অভিযুক্ত |
সংবাদসংস্থা • পুণে |
পুণের জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিমায়ত বেগকে দোষী সাব্যস্ত করল স্থানীয় এক আদালত। আগামী ১৮ এপ্রিল শাস্তি ঘোষণা। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক এনপি ধোত আজ বলেন, “আমার সামনে যা সাক্ষ্যপ্রমাণ আছে, তা দেখে বেগকে দোষী সাব্যস্ত করলাম।”
বেগের বিরুদ্ধে যে ধারায় অভিযোগ রয়েছে, তাতে তার মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, মূলত বিদেশি নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল।
২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কোরেগাঁও এলাকার জার্মান বেকারি নামে এক রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের মাধ্যমেই সন্ত্রাস পা রেখেছিল পুণে শহরে। বিস্ফোরণে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ষাট জনেরও বেশি। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাও।
এই ঘটনায় মোট সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। বেগ ছাড়াও তাদের মধ্যে রয়েছে ইয়াসিন ভাটকল, মোহসিন চৌধুরি, রিয়াজ ভাটকল, ইকবাল ভাটকল, ফৈয়াজ কাজগি ও জাবিউদ্দিন আনসারি ওরফে আবু জুন্দলের নাম। এদের মধ্যে আবার আবু জুন্দলের বিরুদ্ধে ২৬/১১-সহ আরও কয়েকটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। পুণে মামলায় তাই আলাদা করে জুন্দলকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অভিযুক্তেরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তইবা কিংবা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছিল। মহারাষ্ট্রের বিড় জেলার বাসিন্দা বেগকে ২০১০-এরই সেপ্টেম্বরে গ্রেফতার করেন মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসারেরা। বিড়ের উদিগির এলাকায় একটি সাইবার ক্যাফে চালাত বেগ। এই ঘটনায় সে-ই মূল ষড়যন্ত্রী। পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৮ সালে জুন্দল ও ফৈয়াজ কাজগির সঙ্গে কলম্বো গিয়েছিল বেগ। সেখানে পুণের বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করা হয়। যদিও বেগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তার আইনজীবী আবদুল রহমান জানান, তাঁর মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর দাবি, জার্মান বেকারিতে বিস্ফোরণের সময় বেগ ঔরঙ্গাবাদে ছিল। ২০১০ সালের মার্চে সে প্রথম কলম্বো যায়। ফলে বিস্ফোরণের দু’বছর আগে কলম্বোয় বসে ছক কষা বেগের পক্ষে অসম্ভব। রহমানের কথায়, “অবশ্যই হাইকোর্টে যাব। আমার আশা, সেখানে সুবিচার পাব।”
|
পুরনো খবর: পুণের রেস্তোরাঁয় বোমা ফেটে হত ৯, জখম ৫৩ |
|
|
|
|
|