|
|
|
|
মিলেছে জার্মান স্বীকৃতি |
গুলি খেয়েও লেখা ও লড়াই থামেনি টঙ্গাম রিনার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
গত বছরের জুলাইয়ে নিজের অফিসের সামনেই দুষ্কৃতীদের গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন অরুণাচলপ্রদেশের এক মহিলা সাংবাদিক। তার পর বছর গড়াতে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সে রাজ্যের পুলিশ। তবুও লড়াই ছাড়েননি সেই সাংবাদিক। চালিয়ে গিয়েছেন নিয়মিত লেখালেখিও। সেই লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবেই এ বার প্রথম ভারতীয় সাংবাদিক হিসেবে জার্মানি পাড়ি দিচ্ছেন টঙ্গাম রিনা।
সোমবার কলকাতায় জার্মান কনস্যুলেটের অফিসে সাংবাদিক বৈঠকে তাঁর লড়াই ও অভিজ্ঞতাই বারবার তুলে ধরলেন রিনা। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাস তিনেক চিকিৎসার পর গত অক্টোবরে ফের নিজের রাজ্যে ফেরেন রিনা। তার পর থেকে টানা লেখালেখি চালিয়ে যাচ্ছেন।
রিনা জানান, অরুণাচলের পরিবেশ ও মহিলাদের সমস্যা নিয়েই তিনি লেখালেখি করেন। বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অরুণাচলের প্রচুর বন-জঙ্গল কেটে ফেলা হচ্ছে। উচ্ছেদ করা হচ্ছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। এই সমস্যা নিয়ে রিনা যেমন লিখেছেন, তেমনই তুলে ধরেছেন সে রাজ্যের মহিলাদের বহুগামিতা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাও। সম্ভবত এই সব বিতর্কিত লেখালেখির কারণেই তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তা হলে কি কোনও বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর চক্রান্তেই কি আক্রমণ? |
|
জার্মান কনসাল জেনারেলের সঙ্গে টঙ্গাম রিনা। —নিজস্ব চিত্র |
রিনা এ ব্যাপারে উত্তর দিতে যথেষ্ট সাবধানী। বললেন, “এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কাউকে চিহ্নিত করতে পারিনি। তবে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।”
রিনার এই লড়াইকে স্বীকৃতি দিতে তাঁকে এক বছরের জন্য জার্মানি নিয়ে যাচ্ছে সে দেশের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রিনা বলছিলেন, “অরুণাচলের পরিবেশ ও মহিলাদের নানা সমস্যা নিয়ে লেখালেখি করি। জার্মানিতে থেকেও সেগুলিই তুলে ধরব।” এবং কলকাতার জার্মান কনসাল জেনারেল রেইনার স্কিমিডচেন বলছেন, “রিনাই প্রথম ভারতীয় কাগজের সাংবাদিক হিসেবে জার্মানিতে থেকে কাজ করবেন।” তাঁর কনস্যুলেটের আওতাধীন এলাকার কোনও সাংবাদিক এই সুবিধা পাচ্ছেন, তা নিয়েও যথেষ্ট খুশি কনসাল জেনারেল। কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জার্মানিতে থাকার সময় সে দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ পাবেন রিনা। মিলবে সে দেশের অর্থনেতিক উন্নয়ন ও রাজনীতি নিয়ে বিস্তারিত জ্ঞান লাভের সুযোগও। এমনকী, চিকিৎসার প্রয়োজন থাকলে সেই সুবিধাও পাবেন এই ভারতীয় সাংবাদিক। যদিও রিনা জানিয়েছেন, আপাতত ফিজিওথেরাপি ছাড়া তাঁর বিশেষ কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ছে না। |
|
|
|
|
|