|
|
|
|
জয়পুরে মৃত্যু মা ও মেয়ের |
দুর্ঘটনাগ্রস্তদের দেখেও দাঁড়াল না কোনও গাড়ি |
সংবাদসংস্থা • জয়পুর |
রাস্তার মাঝখানে রক্তে ভেসে যাচ্ছে স্ত্রী আর আট মাসের মেয়ের শরীর। উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, তাই রাস্তায় বসেই ছেলেকে কোলে নিয়ে এক ব্যক্তি চেঁচিয়ে চেষ্টা করছেন সাহায্য জোগাড় করার। পাশ দিয়ে একের পর এক বেরিয়ে গেল গোটা দশেক গাড়ি। কিন্তু থামল না কেউই। শেষে মারাই গেলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী এবং মেয়ে। এমনই অমানবিক দৃশ্য রবিবার দেখল জয়পুর। দুই ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মোটরবাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন কানহাইয়া লাল। জয়পুর থেকে আগরা যাওয়ার হাইওয়েতে ঘাট কি গুনি টানেল ধরেই এগোচ্ছিলেন তাঁরা। সেখানেই একটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোটরবাইকটির। ছিটকে পড়েন চার জনই। কানহাইয়া লাল এবং তাঁর চার বছরের ছেলে তানিশ জখম হন। চোট পেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে যান তাঁর স্ত্রী গুড্ডি ও আট মাসের মেয়ে আরুষি। সাহায্য চেয়ে প্রথমে আত্মীয়দের এবং পুলিশকে ফোন করার চেষ্টা করেন কানহাইয়া। তবে নেটওয়ার্ক না থাকায় সেই চেষ্টা বিফল হয়। এর পর আশপাশের গাড়িগুলির কাছ থেকে সাহায্য চাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। তবে তাঁদের দেখেও না দেখার ভান করে বেরিয়ে যায় অন্যান্য গাড়ি। বেশ কিছু ক্ষণ পর ওই টানেলটির টোল ট্যাক্স বুথের এক কর্মী সিসিটিভি-তে গোটা ঘটনাটি দেখে দৌঁড়ে আসেন। তাঁর ফোন পেয়ে চলে আসে পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তত ক্ষণে মারা গিয়েছেন গুড্ডি এবং আরুষি। টানেলের ওই কর্মী জানাচ্ছেন, টানেলটির মধ্যে দিয়ে দু’চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ। তার পরেও নানা মহল থেকে উঠে আসছে একটাই প্রশ্ন, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দু’টি জীবন বাঁচানোর চেষ্টা কেউ করল না কেন? |
|
|
|
|
|