ট্রেনে টাটকা খাবার দিতে রান্নাঘর সব বড় স্টেশনে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ট্রেনে খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ ওঠে হামেশাই। দূরপাল্লার ট্রেনে ভাল মানের টাটকা খাবার সরবরাহ করতে তাই এ বার প্রতিটি বড় স্টেশনে ‘বেস কিচেন’ বা মূল রান্নাঘর চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন রেল-কর্তৃপক্ষ।
সোমবার হাওড়া স্টেশনে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের একটি অনুষ্ঠানে এই নতুন উদ্যোগের কথা জানান রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “প্রায়ই বিভিন্ন ট্রেনের খাবার নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ শোনা যায়। তাই ভাল খাবারের জন্য প্রতিটি বড় স্টেশনেই যাতে বেস কিচেন চালু করা যায়, তার চেষ্টা চলছে। এই পরিকল্পনা রূপায়ণ করতে পারলে ট্রেনের খাবারের মান অনেক উন্নত হবে।” |
|
নতুন ট্রেনের সূচনায় অধীর চৌধুরী। হাওড়ায়। —নিজস্ব চিত্র |
রেল প্রতিমন্ত্রী এ দিন হাওড়ায় এসেছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তিনটি নতুন ট্রেনের যাত্রার সূচনা করতে। সেই সঙ্গে দু’টি নতুন ট্রেনের নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করার কর্মসূচিও ছিল। হাওড়া স্টেশনের নতুন কমপ্লেক্সে ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সুধীর মিত্তল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক দল আধিকারিক। বক্তৃতার শুরুতেই রেল প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করে নেন, রেলে অনেক সমস্যা রয়েছে। ট্রেনযাত্রীরা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। অভাব রয়েছে যাত্রী-নিরাপত্তা, যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য এবং আরও অনেক কিছুরই। এর পরেই অধীরবাবু রেলকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, রেল পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের অনেক দাবিদাওয়া এবং অভিযোগ রয়েছে। সেই সব দাবি পূরণের চেষ্টা করতে হবে। অসহিষ্ণু না-হয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনতে হবে। অধীরবাবু এ দিন পতাকা নেড়ে হাওড়া স্টেশন থেকে তিনটি ট্রেনের যাত্রার সূচনা করেন। সেগুলি হল হলদিয়া-আনন্দবিহার সাপ্তাহিক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-বাগনান ও সাঁতরাগাছি-পাঁশকুড়া ইএমইউ ট্রেন। সেই সঙ্গে সাপ্তাহিক শালিমার-ভুজ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং মঠনশিপুর-মশাগ্রাম ডিএমইউ লোকাল ট্রেন চালু করার কথাও জানান তিনি। এই দু’টি ট্রেন যথাক্রমে ২০ এপ্রিল এবং ১৬ এপ্রিল শালিমার এবং মঠনশিপুর থেকে যাত্রা শুরু করবে বলে জানান রেল প্রতিমন্ত্রী। |
|