জার্মান বেকারি বিস্ফোরণ: দোষী সাব্যস্ত মির্জা হিমায়েত বেগ |
২০১০-এর ১৩ ফেব্রুয়ারি। সময় সন্ধে সাড়ে ৭টা। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পুণের কোরেগাঁও এলাকায় জার্মান বেকারি নামে এক রেস্তোরাঁ। বিস্ফোরণে নিহত হন কমপক্ষে ১৭ জন, আহত হয়েছিলেন প্রায় ৬৪ জন। একটি ব্যাগে রাখা ছিল বিস্ফোরক। বিস্ফোরণের দায় কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী স্বীকার না করলেও ২৬/১১-র মূল চক্রী ডেভিড কোলম্যানের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। ৫ সন্দেহভাজন ব্যক্তি—মহসিন চৌধরী, ইয়াসিন ভাটকল, রিয়াজ ভাটকল, ইকবাল ভাটকল ও ফৈয়াজ কাগজি এখনও পলাতক। বিস্ফোরণের ছক তৈরির অভিযোগে ১,২০০ কেজি বিস্ফোরক-সহ মহারাষ্ট্রের উদগিরে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয় মির্জা হিমায়েত বেগ নামে এক ব্যক্তি। আজ পুণের স্থানীয় আদালত এই বিস্ফোরণের জন্য বেগকে দোষী সাব্যস্ত করে। |
বিদায় ১৪১৯। স্বাগত ১৪২০। পুরনো বছরকে বিদায় জানিয়ে আপামর বাঙালি আজ নতুন বর্ষবরণের আনন্দে মেতে উঠেছে। বাংলার নববর্ষ মানেই প্রথমে উঠে আসে হালখাতা-র কথা। নতুন করে ব্যবসার শুভারম্ভের কামনা করেই ব্যবসায়ীদের পুজো। পাশাপাশি বাঙালির কাছে এই দিনটি পালনের বিশেষ তাত্পর্য রয়েছে। নতুন বছর মানে নিজেকে একটু বেশি মাত্রায় বাঙালি করে তোলা! ধুতি-পাঞ্জাবি আর শাড়িতে নিজেদের সাজিয়ে তোলা। মিষ্টিমুখ-হইহুল্লোড় ও আনন্দে মেতে থাকা। নতুন ভাবে, নব উদ্যমে সব কিছু শুরু করার কামনা নিয়ে আজ থেকে পথ চলা শুরু বাঙালির। বিকেল হলেই কচি-কাচা থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষই বেড়িয়ে পড়েন হালখাতা করতে। আর এটাই নববর্ষে বাঙালির প্রচলিত রেওয়াজ।
অন্য দিকে, আজ এই শুভ দিনে দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট ও আদ্যাপীঠ থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্দিরগুলিতে পুজো দিতে ভিড় জমিয়েছেন ভক্তরা। বৈদিক মন্ত্র ও রবিস্তুতিতে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয় শান্তিনিকেতনে। নববর্ষ উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলাদেশও মেতে উঠেছে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। প্রথা মেনে কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, আলু সেদ্ধ ও ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খেয়ে বাংলা নববর্ষকে আজ আমন্ত্রণ জানায় দেশবাসী। রাজধানী ঢাকায় রমানা পার্ক, সুরাবর্দি উদ্যান ও রবীন্দ্র সরোবরে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণের আয়োজন করা হয়েছে। নববর্ষ উপলক্ষে দেশবাসীদের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
|
কফি হাউস নিয়ে মান্না দে’র সেই চিরস্মরণীয় গানটি হয়ত ‘পুরনো আড্ডা’কে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়নি! তবে ২২ বছর পর এক পুরনো স্মৃতির ‘পুনরুজ্জীবন’-এ আপ্লুত বাংলার গোটা শিল্প-সংস্কৃতি মহল। সেই ‘পুরনো স্মৃতি’র নাম বসুশ্রী—তিলে তিলে গড়ে তোলা মন্টু বসুর প্রেক্ষাগৃহ। আজ থেকে ২২ বছর আগে হঠাত্ই বন্ধ হয়ে যায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। প্রতি নববর্ষের সকালে এখানে তারকা ও শিল্পীদের সমাবেশ ঘটত। বাংলা নববর্ষ উদযাপন সমিতির চার সদস্যের নিরলস চেষ্টায় সেই ‘ঐতিহ্য’কে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আজ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই বসুশ্রী-র প্রাণ সঞ্চার করা হয়েছে। ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মৃতি-স্মারক পুরস্কার। |
|