পুলিশ ও আবগারি দফতরের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে লাঠি, ঝাঁটা নিয়ে মদ ভাটি ভাঙচুর করলেন মহিলারা। মদ উচ্ছেদ ও নারী সুরক্ষা কমিটির সদস্যেরা শনিবার সন্ধ্যায় ঘণ্টা চারেক ধরে রঘুনাথপুর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১৭-১৮টি মদের ভাটি ও দোকানে ভাঙচুর চালায়। শপাঁচেক মহিলাকে মারমুখী দেখে বাধা দিতে যাননি কেউ। তবে পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়, সে জন্য কিছু পুলিশকর্মী সেখানে ছিলেন। আবগারি দফতরের জেলা আধিকারিক শিশির দাস বলেন, “আবগারি দফতরের রঘুনাথপুরের আধিকারিক ও কর্মীরা কেন ওই অবৈধ দোকানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি খোঁজ নিয়ে দেখব।” স্থানীয় সূত্রের খবর, রঘুনাথপুরের মহকুমা গ্রন্থাগারের লাগোয়া এলাকা থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র দৈনিক বাজার, চাঁদাগড়িয়া, পাটারপাড়া এলাকায়, পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়কের পাশে, মিশন স্কুলের পাশে ও হোটেলগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ মদের ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ। এতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা মদ উচ্ছেদ ও নারী সুরক্ষা কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্য নীলিমা ভদ্র, কৌশল্যা বাউরি, সায়রুন বিবি, মাধুরী বাউরিদের অভিযোগ, “আগেও রঘুনাথপুর থানায় মদ ভাটি ও অবৈধ দোকানগুলির বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম।
কিন্তু পুলিশ কর্ণপাত করেনি। আবগারি দফতরের কর্মীরাও আমাদের কথা গুরুত্ব দেননি। তাই নিজেরাই উচ্ছেদে নেমেছি।” রঘুনাথপুরের এসডিপিও কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “অবৈধ মদ উচ্ছেদে পুলিশ নিয়মিত অভিযান চালায়। তবে ওঁদের উচ্ছেদের পরে বিষয়টি আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।” আবগারি দফতরের পুরুলিয়া জেলা আধিকারিক বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালান হয়। কিন্তু পরিকাঠামোর অভাবে বেশি অভিযান করা যাচ্ছে না।”
|