সংস্কৃতি যেখানে যেমন
 
বৈঠকী আড্ডা
বহু বছর পরে তাঁরা জড়ো হয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল সাহিত্যপাঠ, গান আর আড্ডা। গত ২৪ মার্চ মুরারইয়ের বিশিষ্ট সাহিত্যকর্মী সুনীল দত্ত-র ডাকে হওয়া সেই বৈঠকী আড্ডা ভরে উঠল স্মৃতিমেদুরতায়। ওই দিন মুরারই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুক্তাঙ্গণে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন সাতের দশকের লিটল ম্যাগাজিন কর্মীরা। সকাল থেকে শুরু হওয়া প্রায় ৫০ ঊর্ধ্ব সৃজনশীল মানুষদের সেই বৈঠকী আড্ডা কখন যে দুপুর এড়িয়ে বিকেল অবধি গড়াল তার খেয়াল ছিল না কারও। মনপ্রাণ ভরা সেই আড্ডায় সাহিত্যপাঠ-গান তো ছিলই, আর ছিল উপস্থিত থাকতে না পারা সেই সব পুরনো বন্ধুদের জমে থাকা গল্প। সাহিত্যের আড্ডা সহজেই ছুঁয়ে ফেলল নস্টালজিয়া। সবার মনের ভেতরেই তখন গুঞ্জন ‘পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কি রে হায় ও সেই...’। এ দিকে জেলার সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে ভাল খবর, একই দিনে ফের প্রকাশি হতে লাগল বহু দিন বন্ধ থাকা লিটল ম্যাগাজিন ‘বীরভূম প্রান্তিক’। সুনীল দত্ত-র সম্পাদনায় পত্রিকার এই নব পর্যায়ে থাকছে রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক রচনার বিপুল সম্ভার।

সঙ্গীতশিল্পী
ঋতপা মুখোপাধ্যায়।
নিজস্ব চিত্র।
নিজের গানের গায়কি নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একবার বেশ ক্ষোভের সঙ্গেই বলেছিলেন, “এখন এমন হয় যে, আমার গান শুনে নিজের গান কিনা বুঝতে পারি না। মনে হয় কথাটা যেন আমার, সুরটা যেন নয়। নিজে রচনা করলাম, পরের মুখে নষ্ট হচ্ছে, এ যেন আমার অসহ্য। মেয়েকে অপাত্রে বিয়ে দিলে যেমন সব কিছু সইতে হয়, এও যেন আমার পক্ষে সেই রকম।” সেই সময়ে দাঁড়িয়ে তিনি যে কথা বলেছিলেন, তা কার্যত এখনও প্রযোজ্য। এখনও রাস্তাঘাটে রবীন্দ্রসঙ্গীতের নামে এমন অনেক কিছুই শুনতে পাওয়া যায়। তবে তার বাইরেও কয়েকজন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী আছেন, যাঁরা গানটা গাওয়ার চেষ্টা করেন নিখুঁত ভাবে। তাঁদেরই একজন শান্তিনিকেতনের ঋতপা মুখোপাধ্যায়। শুধু মাত্র পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ঋতজা এখন রাজ্যের বাইরেও বেশ পরিচিত নাম। প্রসার ভারতীর রবীন্দ্রসঙ্গীতের বি-হাই শিল্পী ঋতপা শান্তিনিকেতনের সঙ্গীতভবনের প্রাক্তনী। ‘শ্যামা’ নৃত্যনাট্যে শ্যামার চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনিই। যেখানে বজ্র সেনের কণ্ঠে গেয়েছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতন ছাড়াও ‘শ্যামা’র ওই প্রযোজনা কলকাতার রবীন্দ্র সদনেও মঞ্চস্থ হয়েছে। এমনকী নিশীথ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘চিত্রাঙ্গদা’র কণ্ঠ সঙ্গীতেও আছেন ঋতপা-ই।

নবোদ্যমে
সাত-আটের দশকে বীরভূমের নাট্যমঞ্চগুলিতে দাপিয়ে অভিনয় করত বোলপুরের ‘নাট্য সারথি’। কিন্তু দুর্ভাগ্যের কথা, গত ১২ বছর যে কোনও কারণেই হোক না কেন ওই নাট্যদল তেমন ভাল প্রযোজনা দর্শকদের উপহার দিতে পারেনি। তবে নতুন করে ফের ঘুরে দাঁড়াবার প্রয়াস নিয়েছে ‘নাট্য সারথি’। সম্প্রতি বোলপুরের পুরসভার মঞ্চে ওই নাট্যদল মঞ্চস্থ করল ‘উত্‌সর্গ’। দর্শকেরা জেলার এক সময়ের সুনাম কামানো এই দলের নতুন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

বসন্তোত্‌সব
সিউড়ি ডিআরডিসি হলে নৃত্য পরিবেশন করছেন শিল্পীরা।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে একটি প্রাণবন্ত উদ্যোগ কেমন ম্রিয়মান হয়ে গেল। আসলে সিউড়ির ‘সুরনিকেতন’ আর পাঁচটা প্রতিষ্ঠানের থেকে একটু ভিন্ন রুচির। ওই সংস্থা শেষ বসন্তের সন্ধ্যায় স্থানীয় ডিআরডিসি হলে আয়োজন করেছিল ‘বসন্তোত্‌সব’-এর অনুষ্ঠান। বসন্তের গান ও নৃত্যের কোলাজ ওই অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য ছিল। কিন্তু মাইকের শব্দ প্রক্ষেপণে সমস্যা থাকায় অনুষ্ঠানের গানগুলি অস্পষ্ট শোনা গিয়েছে।

তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.