|
|
|
|
হরিয়ানায় যুদ্ধ শুরু তৃণমূলের |
অনমিত্র সেনগুপ্ত • কুরুক্ষেত্র |
আগামী ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে জাতীয় রাজনীতিতে ফের এক বার ডানা মেলার চেষ্টা করল তৃণমূল। কুরুক্ষেত্র থেকে ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা সরকারের বিরুদ্ধে আজ যুদ্ধের ডাক দিলেন দলের রাজ্যসভা সাংসদ কে ডি সিংহ। রাজ্যে বিধানসভা ভোট হতে এখনও ১৮ মাস বাকি। তার আগে অবশ্য আজ সলতে পাকানোর কাজটি সেরে রাখল তৃণমূল।
এর আগে ইউপিএ সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার পরে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্রিয় হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা কারণে সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
লোকসভা ভোটের আগে এসএফআইয়ের হাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিত মিত্রের হেনস্থার ঘটনায় রাজনৈতিক ভাবে অক্সিজেন পেয়েছে তৃণমূল শিবির। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে বাম-বিরোধী ও উত্তর ভারতে কংগ্রেস-বিরোধী আন্দোলনে গতি আনতে চাইছেন মমতা।
ইতিমধ্যেই দিল্লিতে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই প্রতিবাদ আন্দোলন গোটা উত্তর ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। যা আজ শুরু হল হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র থেকে। পরে পটৌডী, গুড়গাঁওতেও সভা করতে চলেছে তৃণমূল।
রবিবারের দুপুর, কড়া রোদ-সব কিছুকে উপেক্ষা করে আজ কুরুক্ষেত্রের সভায় ভিড় জমানোর প্রশ্নে সাফল্যের দাবি করতেই পারেন কে ডি সিংহ। হুডার শাসনে হওয়া একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও রাজ্যের কৃষকদের দুরবস্থার প্রশ্নে সোচ্চার হন কে ডি সিংহ। তবে উত্তর ভারতের জাতপাত আর পেশিশক্তির প্রদর্শনের চিরাচরিত ছবির ব্যতিক্রম হয়নি তৃণমূলের সমাবেশে। ভিড়ের মধ্যে ক’জন তৃণমূলের নীতির কারণে সমাবেশে এসেছিলেন তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুললেন কর্মসূত্রে এ রাজ্যে আগত বেলঘরিয়ার বাসিন্দা রজত কর্মকার। কে ডি সিংহের ভাষণে এক বারও দলনেত্রীর নাম না করায় কিছুটা অবাক তিনি। তাঁর প্রশ্ন, “জাতপাতের রাজনীতি আর খাপ পঞ্চায়েতে অভ্যস্ত এই রাজ্যে তৃণমূল কথাটার অর্থ কী সেটা কি মানুষেরা বুঝতে পারছেন?” তৃণমূল আঞ্চলিক দলের পরিচয় নিয়ে হরিয়ানা তথা উত্তর ভারতের রাজনীতিতে আদৌও সফল হবে কি না তা নিয়ে সন্দিহান সমাবেশে আসা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাম ভজ। অধিকাংশেরই মতো তিনিও কিছুটা কৌতূহল, কিছুটা মমতার নামে এই সমাবেশে এসেছিলেন। মমতার নামেই যে ভিড় তা মানছেন কে ডি সিংহও। তাঁর বক্তব্য, “আমি তো রাজনীতিতে নতুন। আমাকে ক’জন চেনেন। দলনেত্রীর পরিচয়েই আমার পরিচয়।”
দলনেত্রীকে সামনে রেখে কে ডি কুরুক্ষেত্রের শুষ্ক প্রান্তরে ঘাস ফুল ফোটাতে পারবেন কি না তা বলবে সময়। কিন্তু এর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের একের পর এক রাজ্যে প্রাথমিক ভাবে ভাল ফল করেও পাট গোটাতে হয়েছে তৃণমূলকে। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও সাকুল্যে একটি আসন পেয়েছে মমতার দল। এই পরিস্থিতিতে হরিয়ানায় চাকা ঘোরাতে পারেন কি না তাই এখন পরীক্ষা কে ডির কাছে। |
|
|
|
|
|