কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় ইটভাটার এক মহিলা শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল মালদহের চাঁচলে। অভিযুক্তেরা একই ভাটার শ্রমিক। শুক্রবার সন্ধ্যায় কাণ্ডারণ এলাকায় ওই ঘটনাটি জানাজানি হতে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ভাটা ঘেরাও করে মালিক ও এক কর্মীকে ঘরে আটকে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ ওই দু’জনকে উদ্ধার করে। আক্রান্ত মহিলাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শনিবার ওই মহিলার ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ইটভাটায় কাজ সেরে লাগোয়া গ্রামের দুই মহিলা শ্রমিক একসঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, ওই সময় ভাটার দুই শ্রমিক তাঁদের পথ আগলে টেনে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে। এক মহিলা পালিয়ে গেলেও অন্য জনকে পাশের ফাঁকা এলাকায় নিয়ে দিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। মহিলাটি সংজ্ঞা হারান।
এ দিকে পালিয়ে যাওয়া মহিলার কাছে ঘটনার খবর পেয়ে আশেপাশের গ্রামের কয়েকশো বাসিন্দা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। অভিযুক্তদের ধরতে ইট ভাটা ঘিরে ফেলে জনতার একাংশ। কিন্তু সেখানে কাউকে না পেয়ে জনতা ভাটার মালিক ও এক কর্মীকে তুলে নিয়ে স্থানীয় একটি ক্লাবঘরে আটকে রেখে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ভাটার মালিক দেবকীনন্দন সাধুখাঁ বলেন, “ঘটনার পরে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। ওরা কোথায় আমি জানি না। রাতে পুলিশ সময়মতো না এলে পুড়ে মরতে হত!” ‘ধর্ষিতা’ মহিলা এ দিন কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না। হামলাকারীদের হাত থেকে পালিয়ে আসা তাঁর সঙ্গী এ দিন বলেন, “প্রতিদিন কাজ শেষ করে দু’জন একসঙ্গে বাড়ি ফিরি। কালকেও ফিরছিলাম। অন্ধকার হয়ে এসেছিল। হঠাৎই দু’জন পথ আটকে আমাদের জাপটে ধরে। আমি কোনও রকমে এক জনের হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু আমার সঙ্গী পালাতে পারেনি।” |