এক জন গল্ফের সর্বকালের অন্যতম সেরাদের সেরা। অন্য জনকে মাত্র চোদ্দো বছর বয়সেই বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের মহাতারকা। প্রথম জনের বিরুদ্ধে জোচ্চুরি করে গল্ফের নিয়ম ভেঙেও শাস্তি এড়ানোর গুরুতর অভিযোগ। দ্বিতীয় জনকে লঘু পাপে গুরু দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে চলছে ছিছিক্কার!
প্রথম জন টাইগার উডস। দ্বিতীয় জন, উডসকে নিজের আদর্শ মানা চোদ্দো বছরের চিনা কিশোর গুয়ান তিয়ানলাং।
এই দু’জনকে নিয়ে তোলপাড় গল্ফের সব থেকে অভিজাত আসর আগাস্টা মাস্টার্স। যেখানে একদিকে সর্বকালে সর্বকনিষ্ঠ গল্ফার হিসাবে কাট নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়ল চিনের ক্লাস এইটের পড়ুয়া গুয়ান। আর অন্য দিকে, নিজের শট জলে পড়ার পর বল তুলে এনে ড্রপ ফেলে খেলা আবার শুরু করার সময় দু’গজের উপর সরে যাওয়ায় নতুন করে কলঙ্ক-কালি লাগল উডসের গায়ে। |
শুক্রবার উডসের এই ‘চুরি’ প্রথমে ধরা পড়েনি। কিন্তু পরে টেলিভিশনে দেখে সেটা লক্ষ্য করেন টুর্নামেন্টের নিয়ম রক্ষকরা। শাস্তি হিসাবে তাঁকে দু’শটের পেনাল্টি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তীব্র সমালোচনা হচ্ছে উডসের। যিনি নিজে পরে টিভিতে স্বীকার করে নেন যে, শট মারতে সুবিধা হবে বলে জায়গা থেকে সরে গিয়েছিলেন। তবে উডসের কথায়, “শুক্রবার স্কোরকার্ড সই করার সময় বুঝিনি নিয়ম ভেঙেছি। পরে আমি টিভিতে যা বলেছি তার ভিত্তিতে আমার শাস্তি হয়।” অনেকেই ভেবেছিলেন, নিয়ম ভাঙার কথা স্বীকার করার পর উডস নিজেই প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়াবেন। সেটা হয়নি। নিক ফালডোর মতো বিশেষজ্ঞ যা দেখে রেগে আগুন। বলেছেন, “গল্ফের নিয়ম একেবারে সাদা-কালো। আর টাইগার নিয়ম ভেঙেছে। ওর একটু সৎ সাহস দেখানো উচিত। বাকিদের বলা উচিত, আমার আর এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা নেই।” অনেকেই বলছেন, উডসের উত্তরাধিকার এই ঘটনায় ধাক্কা খেল। অনেকটা সচিনের বিরুদ্ধে বল-বিকৃতির অভিযোগের মতোই এই ঘটনাও আজীবন তাড়া করে বেড়াবে উডসকে।
এ দিকে, দ্বিতীয় রাউন্ডের সতেরো নম্বর হোল খেলতে বেশি সময় নেওয়ায় গুয়ানের এক শটের পেনাল্টি হয়। যা নিয়ে আর এক প্রস্থ সমালোচনার ঝড় বয়েছে। এলোমেলো হাওয়ায় খেলতে গিয়ে একটু সময় লেগেছে বলে বিস্ময়-বালকের এই শাস্তি মেনে নিতে পারছেন না গল্ফের পেশাদাররা। তাঁরা আরও ক্ষুব্ধ কারণ গত আঠারো বছরে কোনও মাস্টার্সের আসরে এমন পেনাল্টি হয়নি। |