অন্যের উপর আস্থা আর নিজের উপর বিশ্বাস। ধারাবাহিক ভাবে সফল একটা দল তৈরি করতে গেলে এই মশলা দুটোর খুব বেশি প্রয়োজন আছে। আমাদের ভাগ্য ভাল, কেকেআরে এই দুটো জিনিসের অভাব নেই। তাই টানা দুটো ম্যাচ হেরে গেলেও আমাদের কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে না। আমরা জানি, শেষ দুটো ম্যাচে ভাল খেলতে পারিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এলে একটা জিনিস আপনি খুব তাড়াতাড়ি শিখে যাবেন। এখানে অজুহাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। খারাপ খেলার জন্য হয়তো কিছু কারণ থাকতে পারে, কিন্তু অজুহাত দেওয়ার কোনও জায়গা নেই। কেউ যদি আমাকে বলে, আমরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছি, তা হলে আমি তাদের বলি, যাও ভাগ্যটা বদলাও গিয়ে।
টিমগুলো অনেক সময়ই তাদের অধিনায়ক, মালিক, ম্যানেজমেন্টের চরিত্রটা প্রতিফলিত করে। আমি হায়দরাবাদ বা রাজস্থানের ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কিছু জানি না, কিন্তু এটুকু বলতে পারি দু’জন ভদ্রলোক এবং দারুণ ক্রিকেটার ওদের টিমের নেতৃত্ব দেয়। তাই রাহুল দ্রাবিড় বা কুমার সঙ্গকারার দলকে জিততে দেখে কারও অবাক হওয়া উচিত নয়। দুটো দলেই ভাল ক্রিকেটার আছে। যেমন ডেল স্টেইন।
এ বারের মতো আগুন ঝরানো বোলিং স্টেইনকে আগের আইপিএলগুলোয় করতে দেখিনি। গত বার চার্জার্স পাঁচ-ছ’টা ম্যাচ শেষ বলে এসে হেরেছিল। সেই ধাক্কাটা ভুলতে পারেনি স্টেইন। ওকে প্রায়ই গজগজ করতে শুনেছি, ক্লোজ ম্যাচগুলোয় জিততে পারলে ডেকানও প্লে অফে চলে যেতে পারত। গত বারের সেই হিসাবটা এ বার সুদে আসলে চুকোতে চায় স্টেইন।
অনেকেই আমার কাছে জানতে চায়, একই দেশের প্লেয়ার হলে কি এনে অন্যের বিরুদ্ধে একটু ঢিলে দিয়ে খেলে? ঘটনা হল, উল্টোটাই সত্যি। ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও আমরা এতটা বোধহয় এতটা আগ্রাসী হয়ে ঝাঁপাই না। আপনারা দেখে থাকবেন, আইপিএলের ‘ক্লাসিক’ লড়াইগুলো একই দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে বেশি হয়ে থাকে।
আস্থা এবং বিশ্বাস ছাড়া একটা দলের সাফল্যের পিছনে প্রয়োজন দক্ষতা এবং ফিটনেসও। আমাদের দলে এরও কিন্তু কমতি নেই। এ ছাড়াও বোধহয় আর একটা মশলা লাগে টিম স্পিরিট। যেটার সঙ্গে গত বার আমরা একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম বলে অনেকেই মনে করেন। এ বারও কিন্তু আমাদের মধ্যে টিম স্পিরিটের কমতি নেই। আসলে আমাদের টিমের বোধহয় হাসিখুশি এবং ইতিবাচক থাকা ছাড়া উপায়ও নেই। কারণ দলে যে ব্রেট লি এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালাম রয়েছে। |