|
|
|
|
দলের অস্বস্তি কাটাতে কংগ্রেসকে চাপ শরদের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
প্রতি বারই ভোটের আগে কংগ্রেসকে বেগ দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। ভাইপো অজিত পওয়ারের মন্তব্য ঘিরে দলের অস্বস্তি ঢাকতে সেই চেষ্টা এ বার কিছুটা আগেভাগেই শুরু করে দিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। তাঁর বক্তব্য, ডিএমকে সমর্থন প্রত্যাহার করার ফলে ইউপিএ সরকারের বিপদ বেড়েছে। যে কোনও সময়েই নির্বাচন হতে পারে। সনিয়া গাঁধীর উচিত এখনই ইউপিএ জোটের শরিকদের নিয়ে বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঠিক করা।
এমনিতেই কংগ্রেস এখন নানা সমস্যায় জেরবার। তার উপর এই মুহূর্তে তাদের কাছে সব চেয়ে স্পর্শকাতর বিষয়টিই হল, আগামী ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা। এক দিকে রাহুল গাঁধীর নামে দলকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা, অন্য দিকে ক্ষমতার দুই কেন্দ্র বজায় রেখে মনমোহন সিংহকেই ফের সামনে রাখা, এই দুই বিকল্প নিয়ে অত্যন্ত কৌশলে বিতর্ক জিইয়ে রাখতে হচ্ছে কংগ্রেসকে। এখনই সরাসরি কারও নাম ঘোষণার অবস্থায় নেই সনিয়ার দল। ফলে এটাকেই কংগ্রেসকে চাপে রাখার অস্ত্র করছেন শরদ পওয়ার। কার্যত এক ঢিলে অনেক পাখি মারতে চাইছেন তিনি।
অনেকের মতেই, শরদের প্রথম উদ্দেশ্য এনসিপিকে নিয়ে বিতর্ক থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করা। সম্প্রতি তাঁর ভাইপো অজিত পওয়ার এক চাষিকে নিয়ে এমন কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন যে ক্ষমা চেয়েও সেই বিতর্ক মিটছে না। এমনকী, রাজ্যে একটি শৌচাগারও খোলা হয়েছে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিতের নামে। এ নিয়ে আজ খেদের সঙ্গে শরদ বলেছেন, “অজিতের ক্ষমা চাওয়ার পরে এ নিয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাওয়াই উচিত ছিল।” এবং তা হয়নি বলেই এ বার কংগ্রেসের দিকে বিতর্কের মোড় ঘোরাতে তৎপর হয়েছেন তিনি। মাত্র ৯ সাংসদের দল হয়েও নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাপে ফেলতে চাইছেন ইউপিএ-র বড় শরিককে।
সম্প্রতি একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে কংগ্রেস নেতৃত্ব তথা সনিয়াকে নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছিলেন শরদ। অনেকের মতে, কোনও কথা না বলেই সনিয়া সম্পর্কে নিজের বিরূপ মনোভাবের কথা সে দিন জানিয়েছিলেন তিনি। রাহুলের নেতৃত্ব মানার ক্ষেত্রেও তাঁর আপত্তি রয়েছে বলে শরদ-ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। তবু এখন কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে চলার মতো অবস্থাও নেই এনসিপি-র। তাই জোটের মধ্যে থেকেই নিজের পাওনাগণ্ডা বুঝে নিতে মাঝে মাঝেই কংগ্রেসকে খুঁচিয়ে যাবেন এই মরাঠি নেতা। |
|
|
|
|
|