ভর্তুকি দিয়ে সেচের পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজে পিছিয়ে পড়েছে বর্ধমান। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে এই খবর মিলেছে। ওই দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর শ্যামলকুমার দত্ত বলেন, “এই প্রকল্পের কাজ আমাদের জেলায় তেমন একটা এগোয়নি। আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব হবে।”
কৃষি দফতর সূত্রের খবর, ২০১৩-১৪ বর্ষে জেলার ২৭০০ জন চাষিকে ভর্তুকিতে সেচের জন্য পাম্পসেটে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এই সংযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন মাত্র ৮০০ জন। তাঁদের আবেদন খতিয়ে দেখে এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ছ’শো চাষি। কিন্তু তাঁদের এক চতুর্থাংশেরই আবেদন মঞ্জুর করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
জেলার কৃষি দফতরের এক পদস্থ কর্তার অভিযোগ, “সরকারি ভর্তুকির সুযোগ নিতে হলে আট হাজার টাকা পাবেন চাষিরা। সেই টাকায় তাঁরা বিদ্যুৎ সংযোগ নেবেন। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরের অসহযোগিতায় চাষিরা পাম্পে সংযোগ পাচ্ছেন না। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এই সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারে নানা অজুহাত দেখাচ্ছে। কখনও বলছে, বিদ্যুতের খুঁটি নেই। আবার কখনও বলছে সংযোগ দিতে যতটা তার লাগবে, তা নেই। ট্রান্সফর্মারের শক্তি কম বলেও অনেক সময়ে সংযোগ দিতে টালবাহানা করা হচ্ছে।” তবে তাঁর আরও দাবি, “মাঠে কার জমির উপর দিয়ে তার যাবে, কার জমিতে খুঁটি বসবে, তা নিয়েও সমস্যা দেখা দিচ্ছে। জমি মালিকেরা নিজেদের মধ্যে গোলমালে জড়িয়ে পড়ছেন। তাই এই প্রকল্পে সংযোগ নিতে তেমন সাড়া মিলছে না।”
রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার বর্ধমান রিজিয়নের ম্যানেজার তথা সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার কল্যাণকুমার ঘোষাল অবশ্য বলেন, “আমাদের দিক থেকে এই সংযোগ দিতে সমস্যা নেই। মুখ্যমন্ত্রী দু’মাস আগে বর্ধমানের পুলিশ লাইনে এসে ওই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরে আমরা মাস দেড়েক আগে এই প্রকল্পের ১০টি সংযোগ দেওয়ার জন্য কৃষি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টরের কাছ থেকে চিঠি পাই। ওই ১০টি সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষের মুখে। ওই দফতরের তরফে আমাদের তার পরে আবার কিছু সংযোগ দিতে বলা হয়েছে। তা বলা হয়েছে দিন দশেক আগে। নথিপত্র তৈরি করা হচ্ছে। দ্রুততার সঙ্গে আমাদের কাছে সংযোগ পেতে পারেন, কৃষি দফতর এমন চাষিদের তালিকা পাঠালেই আমরাও দ্রুত সংযোগ দেব। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই।” |