তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহরুল বিশ্বাসকে গুলি করার ঘটনায় কালিয়াচকের সুজাপুরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তৃণমূলের তরফে কংগ্রেসকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে। শুক্রবার রাতে কালিয়াচক থানার সুজাপুর বাসস্ট্যান্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল নেতাকে মালদহ শহরেরে একটি নার্সিংহোমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে। ওই নেতার নামে খুন, দাঙ্গা এবং মারপিটের একাধিক মামলা পুলিশের খাতায় রয়েছে বলে অভিযোগ। মালদহের জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তৃণমূলের জেলার সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “সহরুলের নেতৃত্বে সুজাপুর, কালিয়াচকে কংগ্রেসের প্রচুর কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছে। এতেই কংগ্রেসের আশ্রিত দুস্কৃতীরা সহরুলকে গুলি করেছে। পুলিশ অভিযুক্তদের নাম জানানো হয়েছে।” অভিযোগ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “ঘঠনার সঙ্গে কোনও রাজনীতি নেই। দুই দল সমাজ বিরোধীদের সংঘর্ষের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। আমাদের দলের কেউ জড়িত নন। এই ধরণের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। তৃণমবল রাজনৈতিক স্বার্থে অভিযোগ করছে।”
পুলিশকে অভিযোগে জানানো হয়েছে, এদিন সন্ধ্যায় সহরুল বিশ্বাস কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে সুজাপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় ৭-৮ জন দোকানেন ঢুকে গুলি চালায়। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া একটি গুলি সহরুল বিশ্বাসের বুকের ডান দিকে লাগে। তিনি লুটিয়ে পড়তেই দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। দলের নেতা গুলিবিদ্ধের খবর শোনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা নার্সিংহোমের সামনে ভিড় করতে শুরু করেন। ঘটনার পর গোলমালের আশঙ্কায় সুজাপুরে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। |