টুকরো খবর
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টাকিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার সিপিএম
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে টাকিতে গোষ্ঠীবিবাদে জড়িয়ে পড়েছে সিপিএম। ইতিমধ্যেই দুই গোষ্ঠী লিফলেট ছড়িয়ে অভিযোগ এনেছে পরস্পরের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকমাস আগে সিপিএম তৃণমূলের দখলে থাকা টাকি পুরসভার প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিল। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, ফাল্গুনি নাথ ও কেয়া বর্মণ নামে সিপিএমের দুই মহিলা কাউন্সিলার তৃণমূলের পুরপ্রধানকে ভোট দেন। এরপরে ওই দুই কাউন্সিলারের সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করে সিপিএম। সেটি জানিয়ে দলের আমলানি লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে লিফলেট ছড়ানো হয় এলাকায়। লিফলেটে ওই দুই কাউন্সিলারকে দুর্নীতিগ্রস্ত হলা হয়। এরপর পাল্টা লিফলেট ছড়ান কেয়াদেবী। সেখানে তিনি বলেন, “সাহস থাকলে আমার বিরদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করুন পার্টির নেতারা।” না হলে তিনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা বলেও জানান। কেয়াদেবীর অভিযোগ, “দলের নেতারা গোপনে কংগ্রেসের একজনকে টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান করতে চেয়েছিলেন। আমরা এর বিরোধিতা করায় আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে।” এ বিষয়ে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তথা স্থানীয় বাসিন্দা শক্তি মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’জন বহিস্কৃত কাউন্সিলারের সর্ম্পকে যা বলার তা আগেই লিফলেটে বলা হয়েছে। ওদের সঙ্গে আমরা সর্ম্পক ছিন্ন করেছি। সম্মানবোধ থাকলে আর মানহানির কথা বলত না।” অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগে উত্তাপ বাড়ছে টাকির বাম রাজনীতিতে।

শ্বশুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পুত্রবধূর
পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হিঙ্গলগঞ্জের চার নম্বর সান্ডেলের বিল এলাকার পাজড়ভাঙি গ্রামে। নিগৃহীতার অভিযোগ, অত্যাচারের পর তাঁকে পাঁচদিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনা বাইরে জানাজানি হলে ওই মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর ওই মহিলা বাড়ি থেকে পালিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মকর্তাদের সব জানান। তারা মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। মঙ্গলবার ওই মহিলা শ্বশুর পোচিল গাজির বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও শাশুড়ি, স্বামী ও দেওরের বিরুদ্ধে হুমকি ও মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ সূত্রের খবর, সাত বছর আগে হিঙ্গলগঞ্জের পশ্চিম মামুদপুরের ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় কবির গাজির। ওই দম্পতির দুটি সন্তানও রয়েছে। কবির কর্মসূত্রে তামিলনাড়ুতে থাকেন। পুলিশের কাছে মহিলা জানান, স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে তার শ্বশুর তাঁর উপর অত্যাচার করে। শাশুড়িকে সে কথা জানানোর তিনি তাঁকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে চুপ করে যেতে বলেন। ওই মহিলার আরও অভিযোগ, তাঁর স্বামীও তার কথা বিশ্বাস না করে তাঁকে চুপ থাকতে বলেন। এরপর তাঁকে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

সহবাসে শ্রীঘরে, বিয়ে প্রেমিকাকেই
প্রেমিকাকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে মাস দুয়েক হাজতবাস করতে হয়েছে গোপালনগরের দিঘিরপাড় এলাকার এক যুবককে। শুক্রবার সেই প্রেমিকাকেই বিয়ে করলেন তিনি। বনগাঁ আদালতের বিচারকের নির্দেশে এবং আইনজীবীদের উদ্যোগে চার হাত এক হল। বৃহস্পতিবার ওই যুবকের আইনজীবী প্রসেনজিত্‌ বিশ্বাস বনগাঁ আদালতের এডিজে লক্ষ্মীকান্ত দাসের কাছে আবেদনে জানান, তাঁর মক্কেল প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চান। গোপালনগরের শ্রীমন্তপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবতী ও তাঁর পরিবারের লোকজনও বিচারককে জানান, তাঁদের বিয়েতে আপত্তি নেই। বিয়ে করবেন, এই শর্তে বিচারক যুবককে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। শুক্রবার বিকেলে মা ও এক আত্মীয়াকে নিয়ে আদালতে আসেন ওই যুবতী। বার অ্যাসোসিয়েশনের সামনের একফালি জায়গায় হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। উপস্থিত সকলকে খাওয়ানো হয় রসগোল্লা। প্রসেনজিত্‌বাবু জানান, আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে বিচারকের কাছে বিয়ে সংক্রান্ত নথিপত্র জমা দিতে হবে। তার পরেই বিচারক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। বিয়ে শেষে স্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আগে ওই যুবক বলেন, “স্ত্রীকে ভালবাসি। ওকে নিয়েই থাকতে চাই।” নববধূর কথায়, “ওর বাড়ির লোক বিয়েতে অনুমতি দেয়নি বলে ও বিয়ে করতে অস্বীকার করেছিল। এখন আর সে সমস্যা নেই।”

বনগাঁ ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন অভিযান সঙ্ঘ
বনগাঁ মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত সুপার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হল অভিযান সঙ্ঘ। সম্প্রতি বনগাঁ স্টেডিয়ামে আয়োজিত ফাইনালে তারা ৩ উইকেটে পরাজিত করে গাঁধীপল্লি বিবেকানন্দ স্পোর্টিং ক্লাবকে। টসে জিতে গাঁধীপল্লি প্রথমে ব্যাট করে ২৯.৫ ওভারে ২২২ রানে অল আউট হয়ে যায়।
ফাইনালের একটি মুহূর্ত।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন সুমন কল্যাণ দে। ৫৪ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেট হারিয়ে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অভিযান। দলের হয়ে সৈকত বালা করেন সর্বোচ্চ ৪২ বলে ৬৭।
ট্রফি হাতে বিজয়ী দলের সদস্যরা।--নিজস্ব চিত্র।
জয়ী দলের অর্কমিত্র ৫৩ বলে ৬৩ রান এবং ৩৪ রানের বিনিময়ে ২ টি উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হন। সুপার ডিভিশন লিগের সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচিত হন প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাবের শুভম চট্টোপাধ্যায়। লিগের সেরা বোলার নির্বাচিত হন গাঁধীপল্লির রাজু হালদার।

বেহাল রাস্তায় দুর্ঘটনায় মৃত ২
বেহাল রাস্তার বলি হলেন দু’জন। গর্ত বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দু’টি মিনি ট্রাকের সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে জগদ্দলের মথুরাপুরের কাছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম বাবুনাথ ঢালি (৩০) ও সুকুমার মাঝি (৪০)। জখম হয়েছেন পাঁচজন। মৃতেরা হাওড়া বাগনানের বাসিন্দা। এ দিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ হাওড়া থেকে নদিয়ার দিকে যাচ্ছিল একটি মিনি ট্রাক। উল্টোদিক থেকে আসা আরেকটি মিনি ট্রাকও দুরন্ত গতিতে আসছিল বলে জানিয়েছেন জখম যাত্রীরা। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের বেহাল দশা দীর্ঘ দিন ধরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, রাস্তার বড় বড় গতর্গুলো বাঁচাতে গিয়ে দু’টি ট্রাকের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় একজনের। একজনকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয়। বাকিদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ গাড়ি দু’টি আটক করেছে। মৃতদেহ দু’টি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।

সাক্ষী-হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
দাদাকে খুনের ঘটনায় প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভাই। সেই ‘অপরাধে’ ভাই তাপস দত্তকেও পিটিয়ে খুন করে দাদার খুনিরা। ২০০৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার কল্যাণগড়ে তাপসবাবুকে খুনের ঘটনায় শুক্রবার ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। ২০০৬ সালে খুন হন তাপসবাবুর দাদা। সেই ঘটনায় খুনিদের বিরুদ্ধে প্রধান সাক্ষী হিসেবে মামলার তদ্বির করছিলেন তাপসবাবু। সেই কারণে দুষ্কৃতীরা তাপসবাবুকে বার বার খুনের হুমকি দিচ্ছিল। বিষয়টি অশোকনগর থানায় জানিয়েছিলেন তাপসবাবু। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ২০০৭ সালে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বাড়ির সামনেই তাপসবাবুকে পিটিয়ে মারে ১১ জন দুষ্কৃতী। তাপসবাবুর স্ত্রী ও পরিবারের লোকেরাও জখম হন। ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি। অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জন মারা যায়। ৫ জনকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। মামলার সরকারি কৌঁসুলি পঙ্কজ সরকার বলেন, “৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে।”

পুরনো খবর:
যুবকের দেহ উদ্ধার
বছর ত্রিশের এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হল হাড়োয়ার মোটাল এলাকা থেকে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন হাড়োয়া-বেড়াচাঁপা রাস্তার ধারে দেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানায়, ওই যুবকের পরনে ছিল নীল জিন্‌স এবং বেগুনি রঙের গেঞ্জি। তাঁর বুকে দু’টি গুলির চিহ্ন মিলেছে। ভারী কিছুর আঘাতে তাঁর একটি চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরাবুলের সঙ্গী গ্রেফতার
ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের অনুগামী সামাদ মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস দু’য়েক আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীপুর থানা এলাকার সাতুলি গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কয়েক জনের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগে শুক্রবার সকালে ধরা হয়েছে তাকে। পুলিশ জানায়, প্রাক্তন মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার হেনস্থা এবং সিপিএমের মিছিলে গুলি ও বোমা ছোড়ার ঘটনাতেও নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে সামাদের বিরুদ্ধে। ওই দু’টি মামলায় সামাদ জামিনে ছাড়া পেয়েছিল।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.