প্রাক্তন বিধায়ক তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক হরিপদ বিশ্বাসের বাড়ি আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিল্লি কাণ্ডের প্রতিবাদে কয়েক দিন আগে শ্যামনগরে সিপিএম কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়। এ বার হামলা থেকে রেহাই পেল না বাম শরিকও।
হরিপদবাবু জানান, এ দিন শ্যামনগরের গাঙ্গুলিপাড়ায় তাঁর বাড়ির কাছে দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূলের একটি প্রতিবাদসভা চলছিল। সেই সভা থেকেই এক দল তৃণমূল সমর্থক তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। ফব নেতৃত্ব ওই ঘটনা জানান রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। হরিপদবাবু বলেন, “আমার বাড়িতে দু’দফায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলার ঘটনা-সহ হামলাকারীদের ছবিও আমি তুলে রেখেছি। যারা হামলা চালিয়েছে, তারা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।” অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (ব্যারাকপুর) শুভঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “উনি কোনও লিখিত অভিযোগ জানাননি। ফোনে ঘটনাটি জানিয়েছিলেন। এক জন ওর বাড়িতে ঢুকেছিল। পুলিশ তাকে ধরেছে।” মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “মিথ্যা গুজব রটানো হয়েছে। খবরটা আমার কানে আসার পরই আমি ঘটনা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বলেছিলাম স্থানীয় নেতৃত্বকে। আমাদের কেউ হামলা করেনি।” ফব জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ রকম চললে আমরা পথে নেমে প্রতিবাদ করতে বাধ্য হব।”
এ দিন নদিয়ার চাকদহের দরাপপুর এলাকায় পার্টি অফিস থেকে ডেকে নিয়ে পরেশ দাস (৩৫) নামে বিজেপির এক স্থানীয় নেতাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পার্টি অফিসে বসে অন্যদের সঙ্গে বসে কথা বলছিলেন তিনি। সেই সময় অপরিচিত কিছু লোক তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পরেই তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। জেলা বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, “ওই এলাকায় আমাদের দল শক্তিশালী হচ্ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ওই কর্মীকে খুন করা হয়েছে।” |