শনিবারের নিবন্ধ ৩...
কান ধরে গান
তোমায় গান শোনাব।
দয়া করো। আমার একদম শুনতে ইচ্ছা করছে না। স্রেফ কথকতা-র জন্য ফোন করা। তার আগে আহারে-বাহারে গান শোনার কোনও আগ্রহ নেই। পুরাতনী ‘ক্রিং-ক্রিং ক্রিং-ক্রিং মধুর ধ্বনি’-র জয় হোক।
তা বললে তো হবে না বত্‌স। ফোন করলেই গানশোনা ফ্রি। কোটি- কোটি টাকার কলার টিউন ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হয়ে গিয়েছে। চোরাই বাজারের ধাক্কায় সিডি ব্যবসা ফেল। প্রায় ন’শো কোটি টাকার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি এই ফোন-গানের মাস্তুল আঁকড়ে ভাসতে চাইছে।
অতএব, ইচ্ছে হোক বা না-হোক কথা বলার জন্য ফোন করলে আশি শতাংশ ফোনে গান শুনতেই হবে। মাসে তিরিশ টাকা খরচ করে মোবাইলে কলার-টিউন লাগানো আছে শুধু গান শোনানোর জন্য। আমার পছন্দের গান, কিন্তু শুনতে হবে তোমাকে। তা সে তারস্বরে স্তোত্রপাঠ হতে পারে কিংবা ঝিংকুচিকু বলিউডি টিউন, আধুনিক কাব্যপাঠ অথবা রিহানা রিদম্। গানের আগে আবার কী ভাবে সেই গান পছন্দ হলে তোমার মোবাইলেও টুকলি করে ফেলতে পার তার উপায় বাতলাবে নারীকণ্ঠ।
তিষ্ঠ। কারুকাজের অবকাশ আরও আছে। ছোটদির শ্বশুর, ডাক্তারকাকু, পাশের বাড়ির কাকিমা, ন’পিসে বা শিবুজেঠিদের গান এ বার ঠেকায় কার সাধ্যি। সময়মতো সুযোগ হয়নি, ভাগ্য ক্লিক করেনি, স্টেজ মেলেনি? ‘হাল ছেড়ো না বন্ধু, কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।’ কলার টিউন হ্যায় না! নিজের গাওয়া গান নিজের মোবাইলে সেট করে নিলেই হল। যাঁরা ফোন করবেন তাঁরা আপনার গান শুনতে বাধ্য।
এ বার বাঙালির এক পরিচিত অভিজ্ঞতার কথা ধরা যাক। ফোন করলেই ও পার থেকে কাতর আবেদন “আমাকে আমার মতো থাকতে দাও......!” ফেসবুক স্টেটাসের মতো অর্ধেক বাঙালির ফোন-স্টেটাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই ‘অনুপমীয়’ সঙ্গীত। ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়িয়েছিল টিউনটা। আচ্ছা বলুন, কেউ নিভৃতে থাকার এমন আকুল আর্তি জানালে ফোন করতে কিন্তু-কিন্তু লাগবে না? গানও শোনাবে আবার ফোন করতেও বারণ করবে! এ হেন দ্বিচারিতায় থতমত লাগবে না?
ধুর, ধুর, ছাড়ুন তো। ইতস্তত করার কী আছে? খোদ ওই গানের জন্মদাতা অনুপম কী বলছেন শুনবেন? বলছেন, “পুরোটাই তো হুজুগ। আমার নিজের কলার টিউন ছিল না। ‘আমাকে আমার মতো’ এত হিট হওয়ার পর আমিও কলার টিউন লাগানোর কথা ভাবলাম। বোধোদয় হল। বুঝলাম এটা বিজনেস স্ট্র্যাটেজি। সিডি আজকাল বেশি বিক্রি হয় না। নিজের গান মার্কেটিংয়ের ভাল মাধ্যম কলার টিউন। আমাকে যাঁরা ফোন করবেন অন্তত তাঁদের কাছে আমার গানটা পৌঁছোক। বিজ্ঞাপিত হোক।” অনুপমের কলার টিউন এখন তাঁর নিজের অ্যালবাম ‘দ্বিতীয় পুরুষ’য়ের অন্যতম গান ‘অঙ্কের খাতা’। অ্যালবামের আটটা গানই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে লাগাবেন বলে ঠিক করেছেন।
এই দলে ঋতুপর্ণাও। আপাতত তাঁর কলার টিউনে তাঁরই অভিনীত দুটি ছবির গান। ‘মুক্তধারা’র ‘আজ আবার আলো ডাকছে আমাকে’ আর ‘চারুলতা ২০১১’-র ‘আমায় একটু আড়াল দেবে কি?” অভিনেত্রী বলেন, “আমার ছবির যে গান ভাল লাগে, আমার কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়, আমি সেগুলো সবাইকে শোনানোর চেষ্টা করি। অনেকের খুব ভাল লাগে। তাড়াতাড়ি ফোন ধরে ফেললে রাগ করে বলে, ‘এত তাড়াতাড়ি ধরলি কেন? গানটা শুনছিলাম।”
এর উল্টো পিঠও রয়েছে। বিষয়টাতেই ঘোরতর অরুচি গায়ক-রাজনীতিক কবীর সুমনের। তাঁর প্রচুর গান বাঙালির কলার টিউনে আনাগোনা করলেও সুমন ভেবে পান না “নিজের পছন্দকে অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়ার উপর মানুষের এত ভালবাসা কেন বাপু? আমার যা শুনতে ভাল লাগে আমাকে কেউ ফোন করলে তিনিও সেটা শুনতে বাধ্য! অসহ্য।” আপাদমস্তক গান দিয়ে গড়া হয়েও তাই তিনি পারতপক্ষে কোনও কলার টিউন নিজের ফোনে রাখেননি, রাখবেনও না বলে জানিয়েছেন। কেন? ‘ইচ্ছে হল’-র গায়ক-লেখক বলেছেন, “আমার ইচ্ছে। ক্রিং ক্রিং শব্দটাই আমার প্রিয়। যার যা অভিরুচি আর কী।”
সুমনের মতো ইচ্ছে রাখা মানুষেরা অবশ্য এই ভূ-ভারতে সংখ্যালঘিষ্ঠ। তা-না হলে দেশে কলার টিউনের ব্যবসা ২ হাজার কোটি ছাড়ায়?
বছর দশেক আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম কলার টিউনের জন্ম। বছর আটেক আগে তা চালু হয় ভারতে। সাম্প্রতিক একটি জাতীয় সমীক্ষা বলছে, ভারতে এখন প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ মানুষের মোবাইলে কলার টিউন রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ এর জন্য ঠিকঠাক টাকাপয়সা দেন। প্রতি বছর কলার টিউন গ্রাহক প্রায় ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। মোটামুটি প্রতি ১০ জন কলার টিউন গ্রাহকের মধ্যে ৭ জন প্রতি মাসে কলার টিউন পরিবর্তন করে নতুন টিউন লাগান। মনের ঋতুপরিবর্তন অনুযায়ী, জীবনের পরিস্থিতি অনুযায়ী গান বদলায়। অনেকে চান, কলার টিউন হোক তাঁর রুচির বার্তাবহ, তাঁর চরিত্রের অভিজ্ঞান।
বেঙ্গালুরুর এক ফোনসংস্থা কয়েক ধাপ এগিয়ে ভেবে ফেলেছে। কলার টিউন এবং বিজ্ঞাপনের ককটেল। উদাহরণ চান? ধরা যাক অফিস থেকে দুপুরে কোনও কারণে স্ত্রীকে ফোন করেছেন। কলারটিউনের গান দু’কলি বাজার পরেই কোনও স্ত্রী বা পুরুষ কণ্ঠ আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে যে, আর দু’দিন পরেই আপনার স্ত্রী-র জন্মদিন। অমুক দোকান থেকে সস্তায় ফুল কিনতে পারেন বা তমুক দোকান থেকে হিরে!
ফিল্ম এবং গানের দুনিয়ার লোকজন কলার টিউনে কোন গান বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে তা দেখেই এখন গানের জনপ্রিয়তার হিসাব নেন। ‘কোলাভেরি ডি’ এগোলো, নাকি আমিরের ‘সত্যমেব জয়তে’-র থিম সং? ‘চিন-তা-তা-চিতা-চিতা’ লোকে বেশি চাইছে, নাকি এখনও পছন্দের পয়লা নম্বরে অমিতাভ বচ্চনের ব্যারিটোন ভয়েসে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’?
বাঙালির কলার টিউনে বরাবরই রবিঠাকুরের জয়জয়কার। কিন্তু ‘কহানি’-র দৌলতে অমিতাভ-বাহিত হয়ে রবিঠাকুর ছড়িয়ে পড়েছেন ভাষানির্বিশেষে সর্বভারতীয় গ্রাহকের কলারটিউনে।
রবিঠাকুরের গান শোনা যায় এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কলার টিউনেও। সদ্য গান মেলা শুরু হওয়ার অল্প পরে তিনি তাঁর কলার টিউন বদলেছেন। যদিও সেটি ওই রবিঠাকুরেরই গান “ফুলে ফুলে ঢলে ঢলে”।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর কলার টিউন ছিল, “এ কী লাবণ্যে পূর্ণ প্রাণ.....।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের মোবাইলে গানটি চালু করার পরে তাঁর মন্ত্রিসভার একাধিক মন্ত্রী একই কলার টিউন লাগিয়ে ফেলেছিলেন।

কলার টিউন বেসুরে বাজে কখন
• পছন্দের কলার টিউন খুঁজে না পেলে
• টিউন সিলেক্ট করার যান্ত্রিক পদ্ধতি ত্রুটিপূর্ণ হলে
• হঠাত্‌ করে আবেদন ছাড়াই কলার টিউন চলে এলে
• একবারের জায়গায় মাসে একাধিকবার কলার টিউনের জন্য মোবাইল সংস্থা টাকা কেটে নিলে
• টাকা দেওয়া সত্ত্বেও কলার টিউন বন্ধ হয়ে গেলে
• যে কলার টিউন ফোনে লাগানো আছে তার বদলে আচমকা অন্য কলার টিউন বাজতে শুরু হলে

সমাধানের উপায়
• সংশ্লিষ্ট মোবাইল সংস্থার কাস্টমার কেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ
• সেখানেও কাজ না হলে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে যাওয়া
• তার পরেও সুবিধা না-হলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হওয়া
রাজ্যের স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ফোন করলেও শোনা যায় “এ কী লাবণ্যে...”। যদিও চন্দ্রিমার কথায়, তিনি নাকি জানতেনই না যে মুখ্যমন্ত্রীরও একই কলার টিউন। চন্দ্রিমা বলেন, “কোনও দিন গান শিখিনি, কিন্তু এককালে মোটামুটি ভাল রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতাম। এখন চিত্‌কার করে-করে গলা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা-ও আপন মনে একা গুনগুন করি। আমার মোবাইল কেনার পর থেকেই এই কলার টিউন রয়েছে। গানের সুর আর কথাগুলো আমাকে ছুঁয়ে যায়। আমাকে ফোন করলে লোকে এই গানটা দিয়েই আইডেন্টিফাই করে যে ঠিক লোককে ফোন করেছি। অর্থাত্‌ এটা এখন আমার আত্মপরিচয়ের একটা অংশ হয়ে গিয়েছে। এটা বদল করার কথা ভাবতেই পারি না।”
কলার টিউনের ব্যাপারে ভয়ঙ্কর স্পর্শকাতর পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তাঁকে ফোন করলেই বাঁশি বাজে। মন্ত্রী বলেন, “এই বাঁশি আমার প্রাণ। মাঝেমাঝে আপনা থেকে বাঁশি বন্ধ হয়ে যায়। জানতে পেরে আমি ভয়ঙ্কর অসহায় হয়ে পড়ি। বাঁশি ফিরলে আমি বাঁচি!” মদনবাবু চান না তাঁর ছাড়া আর কারও কলার টিউনে এই বাঁশি বাজুক। বাঁশি যেন শুধু তাঁর একার হয়। আরেক মন্ত্রী ব্রাত্য বসু আবার পছন্দের কলার টিউনটাই মোবাইল থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। দিব্যি ফোন করলেই শোনা যেত ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-এর ‘আকাশে ছড়ানো মেঘেদের কাছাকাছি’। তুলে দিলেন কেন? শিক্ষামন্ত্রী উত্তর দেন, “আসলে আমরা যাঁরা অভিনয়ের জগত্‌ থেকে এসেছি তাঁদের খুঁত ধরার জন্য তো সব বসে থাকেন। লোকে ভাবে, এঁরা আবার রাজনীতির কী বোঝে? ফোনে গান-টান থাকলে ধারণাটা আরও বাড়বে, গাম্ভীর্যটা চলে যাবে। তাই তুলে দিয়েছি। শুনতে ইচ্ছা করলে আমি একান্তে শুনব।”
বড় গেরোয় পড়েছেন কেন্দ্রীয় আবু হাসেম খান চৌধুরী মানে ডালুবাবু। তালাত মামুদের ভক্ত তিনি। কত শখ করে বেছেবুছে কলার টিউন রেখেছিলেন তালাতের গাওয়া “তুমি সুন্দর যদি নাও হও।” হঠাত্‌ কথা নেই বার্তা নেই একদিন সেই দরদি টিউন আপনাআপনি উধাও! তার জায়গায় উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তারস্বরে “জিলা গাজিয়াবাদ, জিলা গাজিয়াবাদ।” ফোন সংস্থায় জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ডালুবাবু দিশেহারা, বিরক্ত। বলছেন, “ধুত্তোর, আর সহ্য হয় না। লোকে তো ভাববে এইরকম গানই আমার প্রিয়। এ বার ফোনটাই পুরোপুরি বন্ধ করে দেব।”
হঠাত্‌ করে গান চলে এসে বসেছে বামফ্রন্টের ভিড়-টানা নেতা গৌতম দেবের মোবাইলেও। তবে এ ক্ষেত্রে মাধ্যমটা কে সেটা প্রাক্তন মন্ত্রী জানেন। “আমার পুত্র কখন যেন ভরে দিল গানটা। বলল, এটা থাকলে কেউ আমাকে ফোন করলে তাঁর ভাল লাগবে। আপত্তি করিনি। আমেরিকার বিখ্যাত গায়ক হ্যারি বেলাফন্টের ‘ডাউন দ্য ওয়ে হোয়্যার দ্য নাইটস আর গে, অ্যান্ড দ্য সান শাইনস ডেইলি অন দ্য মাউন্টেন টপ...।” ভাল লাগে গানটা? মন্ত্রী জবাব দেন, “ভালই তো। প্রতিবাদী গায়ক। তবে রবীন্দ্রসঙ্গীত বেশি প্রিয় আমার। দেবব্রত বিশ্বাসের ভক্ত। প্রতিদিন রাতে শোওয়ার আগে রবীন্দ্রসঙ্গীত আমি শুনবই। অনেকের কলার টিউনেই আজকাল রবীন্দ্রনাথের গান শুনি। ভাল লাগে।”
নানা লোক, নানা পছন্দ। কলকাতা পুরসভার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কলার টিউনে আগে শোনা যেত “তুঝসে নারাজ নেহি জিন্দেগি”। আর এখন, ‘আগুনের পরশমণি।” বদলালেন কেন? শোভন একটু মন খারাপ করেই বলেন, “আমার তো আগেরটা ভালই লাগত। তার পর দেখলাম নেতা-মন্ত্রীরা সবাই রবীন্দ্রসঙ্গীতই লাগাচ্ছে। তাই....।” মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আবার ‘অন্যরকম’ ধারায় বিশ্বাসী। একেক বছর তাঁর আয়োজিত দুর্গাপুজোর থিম একেক রকম। তার জন্য তৈরি হয় আলাদা থিম সং। আর সেই থিম সং বছরভর শোনা যায় মন্ত্রীর মোবাইলে। এখন যেমন সমুদ্রদূষণ নিয়ে তৈরি শ্রেয়া ঘোষাল আর সোনু নিগমের গান, “ফুলছে সাগর, ভাঙছে দুকূল”। গর্ব-গর্ব গলায় বলেন, “বাজি রাখছি। আমারটা অভিনব। এই রকম কলার টিউন আর দু’টি পাবেন না।”
কলার টিউন নিয়ে গল্পের শেষ নেই। অভিনেত্রী চূর্ণী যেমন কলার টিউন করেছেন তাঁর মুম্বই প্রবাসী বোন উশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া গান “ঝরা পাতা গো, আমি তোমারই দলে”। চূর্ণী বলেন, “এখন ঝরাপাতার সময় নয়, আর আমার জীবনও ঝরে পড়ছে না। কিন্তু গানটা থাকলে মনে হয় উশ্রী আমার কাছে আছে।”
কলার টিউন লাগানো ছিল চূর্ণীর পতিদেব পরিচালক-অভিনেতা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের মোবাইলেও। কিছু দিন আগে একবার ভাবলেন টিউনটা বদলাবেন। ফোনে কম্পিউটারচালিত প্রক্রিয়ায় গান বাছাই শুরু হল। যত বারই নির্দেশমতো গানের প্রথম লাইন মুখে বলেন, তত বারই ফোনের ও পারে কম্পিউটারচালিত নারীকণ্ঠ যান্ত্রিক ভাবে বলে, “আমি বুঝতে পারলাম না!” শেষে খেপে গিয়ে কৌশিক বলেই ফেললেন, “বুঝতে পারছ না কেন কালা? আমি তো বলেই চলেছি!” যাই হোক, সেই যুদ্ধের পরে আপাতত কিছু দিন কলার টিউনে কৌশিক ক্ষান্ত দিয়েছেন। ক্রিং-ক্রিংয়েই আছেন।
তবু গান শোনা আর শোনানোর পালা তো চলতেই থাকে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.