মোহনবাগানের সঙ্গে এখনও দু’টো ম্যাচ বাকি। তবুও ওডাফা ওকোলি-টোলগে ওজবেদের ভয় পাচ্ছেন না। পিছনে তাড়া করে আসা ইস্টবেঙ্গলের দিকেও নজর দিতে চান না। আই-লিগের বাকি চারটি ম্যাচ সরাসরি জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সুনীল ছেত্রী।
দ্বিতীয়বারের জন্য আই লিগ জিততে মরিয়া সুভাষ ভৌমিকের চার্চিল ব্রাদার্স এখন চিডি-উগাদের থেকে পাঁচ পয়েন্ট এগিয়ে। তা সত্ত্বেও কোনও রকম আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না বলে আজ সরাসরি জানিয়ে দিলেন চার্চিল স্ট্রাইকার সুনীল। বলে দিলেন “আমাদের দলের বেটো ও তোম্বার চোট। বাকি চারটে ম্যাচে সম্ভবত ওদের আমরা পাব না। সে ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল কী করল সে দিকে নজর না রেখে বাকি ম্যাচগুলো আমরা সাবধানে খেলতে চাই। জিততে চাই।”
পর্তুগাল ফেরত সুনীল লিয়েনে এসেছেন গোয়ার ক্লাবে। ভারত অধিনায়ক বলে দিলেন “আমি মনে করি না, চার্চিলের খেতাব জয় কঠিন হবে। তবে ১৭ এপ্রিলের ডেম্পো ম্যাচটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আই-লিগ পাওয়ার জন্য আমাদের গোটা টিমই মুখিয়ে রয়েছে।”
আই-লিগে দুটি নতুন কর্পোরেট দল নেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন সুনীল। বললেন “আই-লিগে দলের সংখ্যা বাড়াটা ভাল। তবে এই যে নতুন কর্পোরেট দলগুলো আই-লিগে আসবে তারা যেন দীর্ঘ দিনের জন্য আসে। তা না হলে কোনও লাভ নেই।” আই-লিগে ফুটবলারদের দাম বেঁধে দেওয়ার যে ভাবনা শুরু করেছে ফেডারেশন, সে ব্যাপারে সুনীলের প্রশ্ন, “জানি না এটা কী ভাবে সম্ভব? টিএফএ থেকে ছাড়া পাওয়া নতুন খেলোয়াড় ও ওডাফা-টোলগেদের মতো খেলোয়াড়দের দর কী ভাবে বেঁধে দেবে এআইএফএফ বা কোনও ক্লাব?”
অন্য দিকে আই লিগের শেষে ভারতের হয়ে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলেই সুনীল আবার পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবনে ফিরে যাচ্ছেন। স্পোর্টিং লিসবনের দ্বিতীয় ডিভিশনে মাত্র কয়েক মিনিট করে কিছু ম্যাচ খেলে খেলে অবশ্য হতাশ সুনীল। বললেন “বেশির ভাগ জুনিয়ার খেলে ওই দলে। তা ছাড়া যারা চোট-আঘাতের জন্য প্রথম ডিভিশনের দল থেকে বাদ পড়ে, তারাও চলে আসে এই দলে। চার-পাঁচ দিন অনুশীলনের পর যখন কোনও ম্যাচ খেলানো হয় না, তখন ব্যাপারটা বেশ হতাশাজনক।” |