গেইল-ঝড়ে টিম বিধ্বস্ত। চিন্নাস্বামীতে ক্যারিবিয়ান দৈত্যের তাণ্ডবের চব্বিশ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও অনেকের এখনও ব্যাপারটা হজম হচ্ছে না।
কিন্তু তাতে কী? নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর তার মধ্যেই প্রত্যাবর্তনের মন্ত্র পেয়ে গেলেন। বিপর্যস্ত কেকেআরকে তাতানোর টোটকা হিসেবে ব্যবহার করলেন আইপিএল ফাইভকে।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ শেষ হওয়ার পরপরই গম্ভীর টিমকে বলে দেন, ভেঙে পড়ে কোনও লাভ নেই। বরং ফেরার শপথ নিতে হবে। মনে করিয়ে দেন আইপিএল ফাইভকে। |
টিমকে গম্ভীর তাতিয়েছেন এই বলে যে, গত আইপিএলেও কেকেআর প্রথম দিকে এ রকমই পরপর দু’টো ম্যাচ হেরেছিল। কেউ তখন ভাবেওনি, সেই টিমটাই শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। কিন্তু আইপিএলে প্রথম দু’টো ম্যাচ হারার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ফেলে কেকেআর। এ বারও পরিস্থিতি প্রায় একই রকম। তফাতের মধ্যে প্রথম ম্যাচটা শুধু নাইটরা জিতেছে। হেরেছে পরের দু’টো। আর গত বার পারলে এ বার না পারার কোনও কারণ নেই।
তবে গেইলের বিস্ফোরণের ধাক্কা নাকি ডাকাবুকো নাইট অধিনায়কেরও হজম হয়নি। ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে সাফ-সাফ বলে দিয়েছেন, কেকেআর শুধু গেইলের কাছেই হেরে গেল। টিমমেটদের কাছেও যা নিয়ে বারবার আফসোস করেছেন। তাঁর সতীর্থদের কেউ কেউ আশ্চর্যও গেইলকে বারবার কেকেআরের বিরুদ্ধে এমন প্রতিশোধের আগুনে পুড়তে দেখে। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে সন্ধেয় যেমন নাইটদের একজন বলছিলেন, “কেকেআরে যখন ছিল কিছুই করল না। আর ছাড়ার পর কী ফর্মে রে বাবা!”
রবিবারই ডেল স্টেইন-সঙ্গকারাদের সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ইডেনে নামছে কেকেআর। টিম এ দিন দুপুর নাগাদ বেঙ্গালুরু থেকে শহরে ঢুকে পড়ল। এবং ভগ্নদশা থেকে টিমকে টেনে তোলা শুধু নয়, ক্রিকেটমহলের মনে হচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও খুঁজতে হবে গম্ভীরকে। যেমন প্রদীপ সঙ্গওয়ান। লক্ষ্মীরতন শুক্ল-র বদলে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে হঠাৎ করে কেন তাঁকে নামানো হল অনেকেই বুঝতে পারছেন না।
ঠিক একই রকম ভাবে আচমকা ব্রেট লি-র বদলে টিমে রায়ান ম্যাকলারেন কেন, সেটাও অনেকের বোধগম্য হচ্ছে না। টিমে সার্বিক বদল যে দরকার সেটা কেকেআর অধিনায়ক নিজেও বুঝতে পারছেন। নইলে আর বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ শেষে কেন-ই বা বলে যাবেন, “ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং আমাদের সব দিকেই উন্নতি দরকার।”
|
স্টেইন গানে ধ্বংস দিল্লি
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
পেপসি আইপিএলে শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে বীরেন্দ্র সহবাগ ফিরলেন ঠিকই। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হল না দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের। বরং ডেল স্টেইন ভারতের পাটা উইকেটে বুঝিয়ে রাখলেন, নভেম্বরে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে কী রকম গোলাগুলির সামনে পড়তে চলেছেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। কুড়ি ওভারে মাত্র ১১৪-৮ তুলল দিল্লি। প্রথম ওভারেই দিল্লির ব্যাটিং লাইন আপকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন স্টেইন। ডেভিড ওয়ার্নারকে শূন্য রানে ফিরিয়ে। অন্য ওপেনার সহবাগও (১২) টিকতে পারলেন না। অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনেও (১২) টিমের ব্যাটিং ধস আটকাতে ব্যর্থ। সানরাইজার্সের হয়ে এ দিন কোটলায় সেরা বোলিং স্টেইনের ৪-১-১১-২। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সানরাইজার্সের সহজ কাজ কঠিন হয়ে যায় সঙ্গকারা (২৮), পার্থিব পটেল (১৯) ক্রেগ হোয়াইট (৪) দ্রুত ফিরে যাওয়ায়। শেষে এমন পরিস্থিতি দাঁড়ায় যে জয়ের জন্য সানরাইরাইজার্সকে ৬ বলে ৬ রান তুলতে হত। ব্যাট হাতেও দলকে রক্ষা করতে নামেন সেই স্টেইনই। চূড়ান্ত ওভারে ইরফান পাঠানের দ্বিতীয় বলেই চার মেরে তিন উইকেটে সানরাইজার্সের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। |