আইপিএল সিক্সের শুরুটা বেশ ইন্টারেস্টিং হল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে মনে করা হচ্ছিল বেশির ভাগ মাঠেই গড়ে ১৮০ মতো রান উঠবে। আদতে কিন্তু ব্যাপারটা অন্য রকম দাঁড়াল। বেশির ভাগ ম্যাচেই ১৪০ মতো রান উঠেছে। ১৩০, এমনকী ১২০-র আশেপাশে রানও সফল ভাবে ডিফেন্ড করা গিয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স একটা ম্যাচে দুশো তুললেও এ বার কিন্তু সে ভাবে বড় স্কোর হয়নি। যেটা খুবই অপ্রত্যাশিত একটা ‘টুইস্ট’।
আস্তে আস্তে দলগুলো নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছে। টুর্নামেন্টের পাঁচ ভাগের এক ভাগ মোটে শেষ হয়েছে। আমার মনে হয় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ভাগটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। প্রথম দশ দিন টিমগুলো যে ছন্দ পেয়েছে, এ বার সেটা ধরে রাখতে হবে। মুম্বইয়ে আমরা এই জিনিসটার উপরই ফোকাস করছি। আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট এ বার বেশ নতুন। জন রাইট কোচ, রিকি পন্টিং অধিনায়ক আর আমি মেন্টর। আমরা যে এত তাড়াতাড়ি সব কিছু গুছিয়ে নিতে পেরেছি, তাতে আমি খুব খুশি।
প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে শেষ বলে হারটা বাদ দিলে এ বার টুর্নামেন্টটা আমাদের পক্ষে বেশ ভাল যাচ্ছে। চেন্নাইয়ে ক্লোজ ম্যাচ জেতার পর দিল্লির বিরুদ্ধে রানের উৎসবে দীনেশ কার্তিক দারুণ খেলল। তিনটে ম্যাচেই দীনেশ খুব ভাল ব্যাট করেছে। দিল্লি ম্যাচে রোহিত শর্মা ভাল খেলেছে। আর চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে কায়রন পোলার্ড দেখিয়ে দিয়েছে ও কতটা বিধ্বংসী হতে পারে। আর আমাদের দুই ওপেনারের ফর্মে ফেরাটাও স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কয়েকবার দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সচিন রান আউট হয়ে গেল। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে, রিকি আর সচিন খুব তাড়াতাড়ি রানের পার্টিতে যোগ দেবে। |
বেঙ্গালুরুতে আমরা জসপ্রীত বুমরাহ-কে একটা সুযোগ দিয়েছিলাম। তরুণ এই মিডিয়াম পেসারের অ্যাকশনটা বেশ অন্য রকম। ওর টি-টোয়েন্টি অভিষেকটা ভালই গেল। ও তিনটে উইকেট পেয়েছে বলেই শুধু বলছি না। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপের বিরুদ্ধে জসপ্রীত যে ভাবে লড়াই করল, সেটা সত্যিই প্রশংসনীয়। মিচেল জনসনের মধ্যে আমরা গতি আর বৈচিত্র দুটোই পাচ্ছি। লাসিথ মালিঙ্গা চলে আসায় আমাদের বোলিং আক্রমণ আরও তীক্ষ্ন, আরও উন্নত। হরভজন সিংহ আর প্রজ্ঞান ওঝার স্পিন-জুটিও দারুণ। ভাল খেলার সব মশলা টিমে মজুত। টিমটাও খুব ভাল ভাবে তৈরি হচ্ছে। আগামী দিনের সম্ভাবনার কথা ভেবে তাই স্বভাবতই আমি উত্তেজিত।
মুম্বইয়ের দর্শকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা না জানিয়ে পারছি না। ঘরের মাঠে টিম যে সমর্থন পায়, ভাবাই যায় না। ওয়াংখেড়ের পরিবেশ সব সময়ই খুব স্পেশ্যাল। শনিবার দুপুরে পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ম্যাচটাও খুব স্পেশ্যাল। তবে অন্য কারণের জন্য। ‘এডুকেশন ফর অল’ নামক একটি উদ্যোগ নিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। যেটা নীতা অম্বানির খুব প্রিয় উদ্যোগ। এরা আট হাজারেরও বেশি দুঃস্থ শিশুকে শনিবার মাঠে নিয়ে আসছে ম্যাচটা দেখার জন্য। এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে মুম্বই টিমের সবাই খুব গর্বিত। বিশেষ করে আমি। শিক্ষা যে আমাদের দেশের প্রত্যেকটি শিশুর জন্মাধিকার, সেই বার্তাটা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার এটা খুব ভাল একটা মঞ্চ। |