যেন এমন এক ঘটনার অপেক্ষাতেই ছিলেন!
বৃহস্পতিবার চিন্নাস্বামীতে গম্ভীর আর কোহলির মধ্যে মাঠে প্রায় হাতাহাতি হওয়ার উপক্রম হওয়ার সঙ্গে হরভজনের হাতে তাঁর চড় খাওয়ার ঘটনার তুলনা হতেই টুইটারে বিস্ফোরণ ঘটালেন ২০০৮ আইপিএলে ‘স্ল্যাপগেট’-এর অন্যতম খলনায়ক শ্রীসন্থ। শুক্রবার সকাল থেকে তাঁর একের পর এক টুইটে সরগরম দেশের ক্রিকেট মহল। |
শ্রীসন্থের বক্তব্য, পাঁচ বছর আগের সেই চড়-কাণ্ডে ঠিক কী হয়েছিল, তা আজও গোপন রেখেছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। হরভজনকে টুইটারে ‘ব্যাকস্ট্যাবার’ বলতেও ছাড়েননি। প্রাক্তন আইপিএল চেয়ারম্যান ললিত মোদী আবার সেই চড়ের ভিডিও ফুটেজ ফাঁস করার কথা ভাবছেন তিনি।
একের পর এক টুইট করেছেন রাজস্থান রয়্যালস পেসার শ্রীসন্থ। প্রথম টুইটে লেখেন, “খুবই হতাশাজনক। গৌতমভাই ও বিরাটের ঘটনার সঙ্গে স্ল্যাপগেটের তুলনা করা হয়েছে? ঢের হয়েছে। আর না। আমি এ বার আর চুপ থাকতে পারছি না।” কিছুক্ষণ পরেই ফের টুইট, “ভাজ্জির খারাপ লাগুক, চাই না। সারা দুনিয়াকে সত্যিটা জানাতে চাই। যা হয়েছিল, তা খুবই খারাপ। এতে আমার কোনও দোষই ছিল না।” এর পর তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে একের পর এক ‘পোস্ট’ পড়া শুরু হয়, সব মিলিয়ে যার বক্তব্য, “সবাই আমার দিকে আঙুল তুলছে। সত্যিটা ভিডিওতেই রয়েছে। সারা দুনিয়া দেখুক তা। আইপিএলের (কাউন্সিলের) কাছেই তো রয়েছে সেই ভিডিও। সে দিন ম্যাচের পর যখন আমি হাত মেলাতে যাই, তখনই ও আমাকে কনুই দিয়ে আঘাত করে। (ভাজ্জি) আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল আমাকে মারবে বলে। ঘটনাটা সবাই যে রকম জানে, আসলে কিন্তু তা নয়।” এই ভিডিও একমাত্র তাঁর কাছেই আছে বলে দাবি করেছেন মোদী। টুইট করেছেন, “অরুণ জেটলির কথাতে তখন ভিডিও প্রকাশ করা যায়নি। এখন ভাবছি করেই দেব। ফুটেজটা আমার কাছেই আছে।” |
ফুটেজ না হলেও সত্যিটা এ দিন শুনিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুধীর নানাবতী-ও। ভারতীয় বোর্ড যাঁকে সেই ঘটনার তদন্তের ভার দিয়েছিল। শ্রীসন্থের দাবি (হরভজন তাঁকে কনুই দিয়ে আঘাত করেছিলেন) উড়িয়ে দিয়ে নানাবতী বলেন, “ফুটেজে দেখেছিলাম, ডান হাতের উপরের অংশ দিয়ে হরভজন শ্রীসন্থের মুখের ডান দিকে মারে। হরভজন নিজেও আমার কাছে চড় মারার কথা স্বীকার করে নেয়।” মোদীও একই কথা বলেন। তবে শ্রীসন্থ হরভজনকে সে দিন কোনও উস্কানি দেননি, জানান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।
তবে আইপিএল ওয়ানের ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের শ্রীসন্থ যে মুম্বই ব্যাটসম্যানদের ‘স্লেজিং’ করছিলেন, সেই অভিযোগ আনেন দুই আম্পায়ার। সেই স্লেজিংয়ের জেরেই ম্যাচ শেষে ‘স্ল্যাপগেট’ কাণ্ড। হরভজনকে সে বারের বাকি টুর্নামেন্ট নির্বাসনে পাঠানো হয়।
|