|
|
|
|
সন্ত্রাস দমনে কেন্দ্র-নির্ভরতা ছাড়ছেন নীতীশ |
স্বপন সরকার • পটনা |
কেন্দ্রের উপর নির্ভর না করে বিহার সরকার এ বার রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে সংগঠিত অপরাধ এবং মাওবাদী মোকাবিলা করতে চাইছে। সেই লক্ষ্যে তিনটি বিভাগ তৈরি করে দায়িত্ব ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রাজ্যে এখন প্রায় সব মিলিয়ে ৭৫ হাজার পুলিশ আছে। সেই বাহিনীকে কেন্দ্রীয় সরকারের ধাঁচে ২৪২টি কোম্পানিতে ভাগ করা হবে। এর মধ্যে ৪৪ কোম্পানি থাকবে দাঙ্গা মোকাবিলার জন্য। বাকি বাহিনী কাজ করবে মাওবাদী এবং সংগঠিত অপরাধ ঠেকাতে। এদের মধ্যে বয়স্ক পুলিশকর্মীদের দিয়ে প্রশাসনিক ও অফিসের কাজকর্ম করানো হবে। তাদের কোনও কোম্পানিতে অর্ন্তভুক্ত না করে সাধারণ ভাবে কাগজ-কলমের কাজই দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় এই বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
রাজ্য থেকে দুই ব্যাটেলিয়ন কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার ব্যাপারে নীতীশ কুমার কয়েকদিন আগেই বলেছিলেন, “মাওবাদী মোকাবিলায় আমরা আর কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে নির্ভর করতে চাই না। রাজ্য পুলিশই এই ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ হিসেবে কাজ করবে।” সে দিনই মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাজ্য পুলিশকে দিয়েই মাওবাদী মোকাবিলা করা হবে। ডিজিপি অভয়ানন্দ বলেন, “জেলা পুলিশকে এ ব্যাপারে বিশেষ অস্ত্র এবং কারিগরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের এই কাজে উপযুক্ত করে তোলা হবে।”
রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, রাজ্য সরকার আগেই তদন্ত এবং আইন-শৃঙ্খলা মোকাবিলার জন্য পুলিশকে বিশেষ ভাবে দায়িত্ব দিয়েছে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সরকার আরও সদর্থক ভূমিকা পালন করতে চাইছে। রাজ্যে নতুন করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হলেও খুন এবং অপহরণের মতো ঘটনা আকছারই ঘটছে।
নীতীশ কুমার রাজ্যে বিনিয়োগের চেষ্টা করছেন। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি না হলে বিনিয়োগকারীরা যে উৎসাহ দেখাবে না, মুখ্যমন্ত্রী তা বিলক্ষণ জানেন। তাই এই বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখে রাজ্য সরকার নতুন করে পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজার পরিকল্পনা করেছে।
জনসংখ্যার অনুপাতে রাজ্যে এখনও পুলিশ যথেষ্ট নয়। পাঁচ বছরে আরও ৪৫ হাজার পুলিশ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ মহিলা কনস্টেবল এবং সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হবে। ওবিসি-র জন্য পুলিশে ৩ শতাংশ সংরক্ষণও করা হবে। |
|
|
|
|
|