|
|
|
|
তদন্তে অসম সিআইডি |
ধর্ষিতা ও তাঁর পরিবারকে হুমকি |
উত্তম সাহা • শিলচর |
ধর্ষণে অভিযুক্ত আইনজীবী এ বার মামলা প্রত্যাহারের জন্য হুমকি এবং মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের দায়েও অভিযুক্ত হলেন। শিলচর মহিলা কলেজের ধর্ষিতা ছাত্রীটির মা গুয়াহাটিতে সিআইডি-র কাছে এই মর্মে একটি এজাহার দায়ের করেছেন। ধর্ষণ মামলার মুখ্য অভিযুক্ত দিব্যেন্দুজ্যোতি করের পাশাপাশি তিনি অভিযুক্ত করেছেন শিলচর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হীরক দাসকেও।
তাঁর অভিযোগ, ক’দিন থেকেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে দিব্যেন্দু। তার হয়ে হীরক বেশ ক’বার মোবাইলে হুমকিও দেন। পরে তিনি গুয়াহাটি গিয়ে ধর্ষিতার মা’কে হোটেলে ডেকে পাঠান। প্রথমে মেয়ের চাকরির টোপ দেওয়া হয়, সঙ্গে নগদ ২ লক্ষ টাকা। তিনি এতে রাজি না হলে শুরু হয় শাসানি। হীরক হুমকি দেন, মামলা চলতে থাকলে তাঁদের পরিবারের ক্ষতি হতে পারে।
গত বছরের অগস্টে সংঘটিত এই ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে বুধবার। কলেজের অধ্যক্ষ মনোজকুমার পাল, দেড ক্লার্ক এস বি দত্ত এবং ধর্ষিতার মা ও দিদির পর গত কাল সাক্ষ্য দিয়েছেন হোস্টেল সুপার শিখা শর্মা-সহ আরও দু’জন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ কলেজ ছাত্রীটির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তার সাক্ষ্য নেওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক এস পি মৈত্রের অফিসকক্ষে। অনুমান, এ মাসেই ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। আইনজীবী দিব্যেন্দু ছাড়াও আরও তিন জন অভিযুক্ত হল সেবুল আহমদ গাজি, লাতু মিয়া গাজি এবং পুতুল আহমদ লস্কর। চার জনই এখন জামিনে মুক্ত।
এ দিকে, ছাত্রীটির আইনজীবীরা সিআইডি-তে দায়ের করা মামলার কথা আদালতকে জানিয়েছেন। মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পেয়ে বিচারক মৈত্র দিব্যেন্দুকে সতর্ক করে বলেন, এমন অভিযোগ পেলে তার জামিন খারিজ হয়ে যাবে। সিআইডি অবশ্য পৃথক ভাবে দ্বিতীয় মামলার তদন্ত করছে। সিআইডি-র একটি দল শিলচরে এসে তদন্তও শুরু করেছে। তদন্ত দলের নেতা মোসলেম আনি বলেন, দিব্যেন্দু-হীরক ছাড়াও হুমকির ঘটনায় আরও সাত জন জড়িত। শীঘ্রই সবাইকে গ্রেফতার করা হবে। হীরকবাবু হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, মেয়েটির ভগ্নীপতি ও মামা-ই সমঝোতার কথা বলেন। তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন মাত্র।
গত বছরের ৮ অগস্ট ছাত্রীটি এক নিকটাত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার জন্য শিলচর মহিলা কলেজের হোস্টেল থেকে বেরিয়েছিল। সেই সময় কলেজের সামনে থেকেই দিব্যেন্দু-সহ চার অভিযুক্ত তাকে অপহরণ করে উধারবন্দের লাঠিগ্রামে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|