তলানিতে ঠেকা শিল্প বৃদ্ধির হারেও কার্যত স্বস্তির শ্বাস ফেলল কেন্দ্র। কারণ, শিল্পের উৎপাদন যে ফের সরাসরি কমে যায়নি, আপাতত তাকেই যথেষ্ট মনে করছে তারা। আশা করছে, এ বার চাকা ঘুরবে। শিল্পমহল অবশ্য মনে করছে এই পরিসংখ্যান আসলে আরও বড় সমস্যার অশনি সংকেত। তাই তাদের দাবি, খুচরো বাজারে সামান্য হলেও কমা মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে এ বার অন্তত সুদ কমাক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
শুক্রবার কেন্দ্র প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে শিল্প বৃদ্ধির হার দাঁড়িয়েছে ০.৬%। আগের বছর ওই একই সময়ে যা ছিল ৪.৩%। মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন ও খনন শিল্পের সংকোচনই টেনে নামিয়েছে শিল্প সূচককে। তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে উৎপাদন শিল্পের খারাপ ফলও। কিন্তু তাতেও এ দিন কিছুটা আশ্বস্তই দেখিয়েছে কেন্দ্রকে। কারণ, আলোচ্য মাসে শিল্প ফের সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। তাই তার বদলে যে তা সামান্য হলেও বেড়েছে, তাতেই আশার আলো দেখছে তারা।
কেন্দ্রের এই মনোভাব স্পষ্ট যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়ার কথাতেই। তিনি বলেন, “আমি খুশি যে, শিল্প বৃদ্ধির হার অন্তত শূন্যের নীচে নামেনি। চলতি অর্থবর্ষেই ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।”
বণিকসভাগুলি অবশ্য এই যুক্তি শুনতে নারাজ। তাদের অভিযোগ, শিল্পে বৃদ্ধি তলানিতে। তার শোচনীয় হাল স্পষ্ট গাড়ি বিক্রির পরিসংখ্যানেই। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মার্চ মিলিয়ে টানা পাঁচ মাস কমেছে গাড়ি বিক্রি। তা কমেছে গত আর্থিক বছরেও। এক দশকে এই প্রথম। তাই শিল্পকে চাঙ্গা করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছে তারা। বিশেষত এ দিন খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধি সামান্য হলেও কমার পর।
সব্জি, মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদির দাম কমায় মার্চে ওই মূল্যবৃদ্ধি সূচক সামান্য নেমে হয়েছে ১০.৩৯%। ৫ মাস টানার ওঠার পর এই প্রথম। তাই এ বার অন্তত সুদ কমাতে শীর্ষ ব্যাঙ্কের দ্বিধা করা অনুচিত বলে শিল্পের দাবি। |