হাতে মাত্র আর এক দিন। তারমধ্যেই এ দোকান থেকে ও দোকান। হুটোহুটি, ছুটোছুটি। চৈত্র সেলের বাজার যে প্রায় শেষ। গিন্নীরা সকাল সকাল রান্না সেরে, কোমরে আঁচল গুঁজে বেরিয়ে পড়ছেন কম দামে সেরা জিনিসের খোঁজে। শাড়ি, চুড়িদার, নাইটি থেকে বিছানার চাদর, পর্দা সবেরই চাহিদা তুঙ্গে। ওদিকে কর্তারাও কম যাননা। অফিস ফেরত সেলের বাজারে একবার ঢুঁ মেরে যান তাঁরাও। আর দোকানিরাও গরমে ঘেমেনেয়ে ‘ও দিদি, ও বৌদি’ করে লোক টানতে ব্যস্ত। |
একই পরিস্থিতি দুর্গাপুর স্টেশন বাজার, মামরা বাজার, সিটি সেন্টারের শপিংমলগুলিতেও। কিন্তু ক্রেতাদের ঠেকায় কে। ভিড়, গরম, প্যাচপেচে ঘাম হেলায় উড়িয়ে তারা একেকটা দোকান থেকে যেন যুদ্ধ জয় করে বেরোচ্ছেন।
তবে এত ভিড়েও দোকানিরা কিন্তু সদাই হাস্যমুখ। আর হবেন নাই বা কেন, বিক্রি যে বেশ চুটিয়েই চলছে। যত্ন করে পসরা সাজিয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়ে ক্রেতা টানছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাচিতি বাজারের এক ব্যবসায়ী চন্দন সাহা বলেন, “অনেকদিন পর এ বার ভাল ব্যবসা হল।”
আর এই বাজারে সেল না দিয়েই আর যাঁরা মুনাফা করলেন তাঁরা হলেন ফুচকা বিক্রেতা। ভিড়, গরমে ক্লান্ত দেহে তেঁতুল জল ‘মাস্ট’। ফুচকা বিক্রেতা মনীষ সিংহও বলেন, “যতই ভিড় হোক বাজারে বেরোনো মানে ম্যাডামেরা ফুচকা খেতে একবার আসবেনই”।
|