সৈকতশহর দিঘার প্রবেশমুখে এ বার তোরণদ্বার বসতে চলেছে। ঘেরসাইতে দিঘা-কলকাতা রাজ্য সড়কে তৈরি হবে ‘গেটওয়ে অফ দিঘা’। ইতিমধ্যেই ২২ মিটার উঁচু ও ২০ মিটার চওড়া তোরণদ্বারের নকশা তৈরি করে ফেলেছে একটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্যের নগরোন্নয়ন দফতর নকশাটি অনুমোদন করে প্রকল্পের জন্য ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করেছে। সেই নকশার উপর ভিত্তি করে টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল টেন্ডার জমা দেওয়ার শেষ দিন বলে জানান দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল। |
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দিঘাকে ‘গোয়া’ বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই নগরোন্নয়ন ও পর্যটন দফতরের উদ্যোগে দিঘায় সৈকত উৎসব শুরু হয়। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ভাঙন কবলিত দিঘা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় সমুদ্রবাঁধ তৈরির পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো রাজ্যের সেচ দফতর ৮৬ কোটি ৬১ লক্ষ টাকার প্রকল্প নিয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে সমুদ্র পাড়ে গ্র্যানাইট পাথর বসিয়ে মুম্বইয়ের মেরিন ড্রাইভের মতো বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে পর্যটকরা ভবিষ্যতে দিঘার সমুদ্র পাড়ে বসে সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এ ছাড়াও পেটুয়াঘাট বন্দর থেকে দিঘা পর্যন্ত দুটি সেতু-সহ একটি উপকূলীয় রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এই রাস্তা তৈরি হলে দিঘা থেকে পেটুয়াঘাট, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরে পযর্টকরা সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।’’
অবশ্য, পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র না মেলায় দিঘায় তিনটি প্রকল্প আটকে রয়েছে। পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক সৌমেন পাল জানান, রাস্তা ও সরকারি জায়গা দখল করে থাকা হকারদের সরিয়ে পুনর্বাসনের জন্য ৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এই প্রকল্পে নিউ দিঘার ত্রিকোণ পার্কে ১৬০টি ও ওল্ড দিঘায় ৪৬টি স্টল সরিয়ে দু’টি হকার পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়াও দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের কাছে সমুদ্রের পাড়ে ঝাউবনে রঙিন আলো আর নানা রকমের বাহারি গাছের বাগান তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের পরিবেশ দফতর থেকে ছাড়পত্র না পাওয়ায় এই প্রকল্পগুলি এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। |