দাদাসাহেব ফালকে সম্মান পেলেন প্রবীণ অভিনেতা প্রাণ। এক সময় যাঁকে বলা হত শতকের সেরা খলনায়ক। যাঁর মুখে এক সময় দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল, “বরখুরদার...।” আগামী ৩ মে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে তাঁর হাতে।
প্রায় ষাট বছরের দীর্ঘ অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল ১৯৪০ সালে। প্রথম ছবি ‘যামলা জাট’-এ তাঁকে দেখা গিয়েছিল নায়কের ভূমিকায়। যদিও আরও খ্যাতি পান খলনায়কের চরিত্রে। এর মধ্যে রয়েছে ‘মিলন’, ‘মধুমতী’, ‘কাশ্মীর কি কলি’। পরের দিকে অবশ্য প্রাণকে পার্শ্বচরিত্রেও দেখা গিয়েছে। এ সময়ের জনপ্রিয় ছবিগুলি হল ‘জঞ্জির’, ‘উপকার’, ‘পরিচয়’, ‘ডন’। জঞ্জির-এ তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল “ইয়ারি হ্যায় মেরি ইমান মেরা ইয়ার মেরি জিন্দেগি...।” দীর্ঘ অভিনয় জীবনে অন্তত ৪০০টি ছবি করেছিলেন প্রাণ।
অভিনয় থেকে অবসর নেন ১৯৯৮ সালে। বার্ধক্যের কারণেই ছবির জগত থেকে সরে আসা। এ সময় একের পর এক ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন প্রাণ। ১৯৯৭ সালে অমিতাভ বচ্চনের কেরিয়ার তখন নিচুর দিকে। প্রাণের শরণাপন্ন হলেন তিনি। অনুরোধ করেন তাঁর দু’টি ছবি ‘মৃত্যুদাতা’ ও ‘তেরে মেরে স্বপ্নে’-তে অভিনয় করার জন্য।
দীর্ঘদিনের বন্ধুকে ফেরাননি প্রাণ। বয়সের ভারে তাঁর তখন হাত-পা কাঁপে। ক্যামেরার কাজে সে সব খামতি ঢেকে দেওয়া হল। আর তেরে মেরে স্বপ্নে-তে পুরোটাই চেয়ারে বসে অভিনয় করলেন। কিন্তু সেই শেষ। ২০০০ সালের পর তাঁকে আর দু’টো-একটা ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা যায়।
সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় বেশ কয়েক বার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে প্রাণকে। ২০১২ সালে অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনের পার্টিতে দেখা গিয়েছিল এই প্রবীণ অভিনেতাকে। সেই শেষ প্রকাশ্যে।
বাবার দাদাসাহেব ফালকে সম্মান পাওয়ার খবরে প্রাণের ছেলে সুনীল সিকন্দ বললেন, “আমরা খুব খুশি।” এই সম্মানটা আরও আগেই পাওয়া উচিত ছিল নয় কি? জবাবে সুনীল বলেন, “আমি এ সবের মধ্যে ঢুকতে চাই না। আমরা সবাই খুব খুশি।
বাবা এখন টিভিতে পুরস্কারের খবরটাই দেখছেন।”
|