|
|
|
|
দক্ষিণ সুদানে সংঘর্ষে মৃত্যু |
কফিনে বাড়ি ফিরলেন ভরত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
গ্রামের বাড়িতে শেষ এসেছিলেন গত সেপ্টেম্বরে। পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের তুপচিবাড় গ্রামের সেই বাড়িতেই বৃহস্পতিবার রাতে এসে পৌঁছল ভরত শাসমলের (৩৫) কফিনবন্দি দেহ। দক্ষিণ সুদানে বিদ্রোহী জনজাতির হামলায় রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তিরক্ষা বাহিনীর সদস্য পাঁচ ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয় মঙ্গলবার। ভরত তাঁদেরই এক জন।
ওই জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ বৃহস্পতিবার সকালে এসে পৌঁছয় দিল্লিতে। উত্তরপ্রদেশের ববিনায় সেনাবাহিনীর আবাসনে থাকেন ভরতের স্ত্রী কবিতা, আট বছরের মেয়ে প্রিয়া ও ছ’বছরের ছেলে সৈকতকে নিয়ে। দুঃসংবাদ পেয়ে পটাশপুরের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তাঁরা। সেখানেই সৎকার হবে ভরতের।
২০১১ সালের জুলাই মাসে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে সেখানে ছোট-বড় সংঘর্ষ লেগে রয়েছে। শান্তিরক্ষায় রাষ্ট্রপুঞ্জের শিবির রয়েছে সেখানে। জংলেই ও মলাক্কায় প্রায় ২,২০০ ভারতীয় সেনা রয়েছেন। |
|
কফিনবন্দি ভরত শাসমলের দেহ। —নিজস্ব চিত্র |
সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জংলেই-এর গুরমুক থেকে বর যাওয়ার পথে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি কনভয়ে হামলা চালায় স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী। কনভয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৩২ জন ছিলেন। রকেট-গ্রেনেড নিয়ে হামলা চালানো হয় তাঁদের উপরে। প্রায় এক ঘণ্টা যুদ্ধের পরে নিহত হন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহীপাল সিংহ, জুনিয়র কমিশনড অফিসার শিবকুমার পাল এবং ভরত শাসমল, হীরা লাল ও নন্দ কিশোর নামে তিন জওয়ান।
ভরতের দাদা লক্ষ্মণবাবু জানান, তাঁরা পাঁচ ভাই। বাবা-মা মারা গিয়েছেন। ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দিল্লির আহম্মদনগরে চলে যান ভরত। গত বছরই সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশে যাওয়ার জন্য কিছু কাগজপত্র নিতে তুপচিবাড়ে এসেছিলেন তিনি। আহম্মদনগরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যালয় থেকে ভরতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই গ্রামে শোকের ছায়া। চোখের জল মুছে লক্ষ্মণবাবু বলেন, “দেশের হয়ে লড়তে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ভাইয়েরএমনটা ভেবেই নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছি।” |
|
|
|
|
|