যুব তৃণমূলের সম্মেলনে যোগ দিতে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দলের এক কর্মীর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বলাগড়ের একতারপুরের দ্বারপুর মোড়ে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সুধীর মালিক (৬০)। তিনি বলাগড়েরই আমজানপুরের বাসিন্দা। এ দিন ট্রাকে চেপে সভায় আসছিলেন দলের কয়েক জন। ট্রাক উল্টে জখম হন সুধীরবাবু-সহ ১২ জন। তাঁদের আনা হয় চুঁচুড়া হাসপাতালে। সেখানেই মারা যান সুধীরবাবু। এক মহিলা-সহ ৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
বলাগড়ের স্কুল মাঠে এ দিনের সভায় হাজির ছিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, রত্না দে নাগ, বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, তপন মজুমদার প্রমুখ। কড়া ভাষায় সিপিএমের সমালোচনা করেন শুভেন্দুবাবু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তের বার্তা, দলের মধ্যে কোনও রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না।
|
দরজা ভেঙে ঢুকে গোঘাটের এক সিপিএম নেতার বাড়িতে হামলা চালানো এবং তাঁর মেয়ের বইপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতের ঘটনা। ভাস্কর রায় নামে সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির ওই সদস্য এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ ছ’টি মোটরবাইকে কয়েক জন যুবক শাবল, গাঁইতি, হাতুড়ি নিয়ে ভাস্করবাবুর বাড়িতে চড়াও হয়। প্রথমে তারা সদর দরজা ভাঙে। তার পরে ঘরে ঢুকে বইপত্র পোড়ায়। সাইকেল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ভাস্করবাবুর চিত্কারে প্রতিবেশীদের আসতে দেখে হামলাকারীরা পালায়। ভাস্করবাবু বলেন, “ওরা আমাদের হুমকি দিচ্ছিল। প্রতিবেশীরা চলে আসায় এ যাত্রায় বেঁচে গেলাম। তৃণমূলের ছেলেরাই হামলা চালিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে গোঘাটের তৃণমূল নেতা প্রদীপ রায় দাবি করেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। সিপিএম মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।”
|
স্ত্রীকে নির্যাতন এবং মারধরের অভিযোগে এক চিকিত্সককে গ্রেফতার করল উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। ধৃত চিকিত্সকের নাম প্রবীর মুখোপাধ্যায়। তাঁকে কলকাতার বাগুইআটির একটি ফ্ল্যাট থেকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, প্রবীরবাবুর বাড়ি আদতে কোন্নগরে। ইদানীং তিনি অবশ্য বাগুইআটির রবীন্দ্রনগরের আবাসনে থাকছিলেন। সেখানে তাঁর চেম্বারও রয়েছে। কয়েক দিন আগে প্রবীরবাবুর স্ত্রী রিমাদেবী উত্তরপাড়া থানায় এসে স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি আরও জানান, স্বামী, তাঁর গাড়ির চালক এবং এক মহিলা কোন্নগরে এসে তাঁকে মারধর করেন। ওই অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগুইআটিতে হানা দেন উত্তরপাড়া থানার আইসি প্রিয়ব্রত বক্সি। প্রবীরবাবু ছাড়াও তাঁর গাড়ির চালক এবং এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, শুক্রবার ধৃতদের শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
৪০ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরের ঘটমপুর থেকে তাদের ধরা হয়। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ২৬ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা এবং ৬ জন শিশু। তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের খুলনার বাসিন্দা। উলুবেড়িয়ার এসডিপিও শ্যামলকুমার সামন্ত বলেন, “বীরভূমের মারগ্রামের নতুনগ্রামের বাসিন্দা শেখ জাকির নামে এক ব্যক্তিই ওদের বেআইনি ভাবে ভারতে এনে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাচ্ছিল। বীরশিবপুরে জাকিরের শ্বশুরবাড়ি। বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার পথে বীরশিবপুরে মঙ্গলবার রাতে তাদের আনা হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিয়ে এই বাংলাদেশিদের ধরা হয়।” জাকিরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে বলে এসডিপিও জানান। |