সাংবাদিক সম্মেলনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় |
গত ৯ এপ্রিল দিল্লিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র শারীরিক ভাবে নিগ্রহ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পর সাংবাদিক সম্মেলন করলেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দিল্লিতে যোজনা কমিশনের গেটের বাইরে এসএফআই ও অন্যান্য গণ সংগঠন ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলেন। কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তদন্ত হওয়ার আগেই এই মৃত্যুকে “দুর্ঘটনা বলেছেন, ছোট্ট ঘটনা” বলেছেন। তবে অমিত মিত্রকে ঘিরে যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। এসএফআইয়ের কোনও সদস্য এই ঘটনায় যুক্ত নয়। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় তাঁর সম্বন্ধে শারীরিক নিগ্রহ করার যে অভিযোগ করেছেন তা যদি প্রমাণিত হয়, তবে তিনি জেলে যেতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যেই সিপিএম জানিয়েছে, যে ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
তৃণমূল কর্মী খুন, রণক্ষেত্র লিলুয়া |
গত কাল রাতে বাপন দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে হাওড়ার লিলুয়া। পুলিশ সূত্রে খবর, স্থানীয় এক সিপিএম সমর্থক ছটু চক্রবর্তীর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী বাপন। বচসা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছলে হঠাত্ই ছটু চক্রবর্তী বাড়িতে ঢুকে একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাপনকে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও পরে কলকাতার একবালপুরে একটি বেসরকারি নার্সিহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। কয়েকটি গাড়িতেও আগুন লাগানো হয়। বিশেষত সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। এর পর ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ। নামানো হয় কম্ব্যাট ফোর্স। এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পলাতক। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
ব্যক্তিগত জামিনে মুক্ত অশোক, জীবেশ |
গত কাল সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, সিপিএম নেতা জীবেশ সরকার ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শমন পাঠক-সহ ৫৯ জন সিপিএম কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ ব্যক্তিগত জামিনে অশোক ভট্টাচার্য, জীবেশ সরকার ও শমন পাঠককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের আজ আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য দিকে, ঘটনার প্রতিবাদে সিপিএমের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল। তবে কোথাও কোথাও দোকান-পাট পুরোপুরি বন্ধ ছিল।
|
শহরে দু’টি অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকল |
আজ সকালে ৩ নম্বর বনমালি নস্কর লেনের একটি বাড়িতে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে দমকলের ৩টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্য দিকে, বিবাদি বাগ অঞ্চলে বন্ধ অফিস ঘরে আগুন লাগে। দমকলের ২টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। |