প্রেমিক সেজে দুই স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছিল দুই পাচারকারী। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে সোমবার রাতে স্কুলের হস্টেল থেকে পালিয়েছিল গাজলের একটি স্কুলের অষ্টম ও নবম শ্রেণির দুই ছাত্রী। কিন্তু জেলার বাইরে পাচার করার আগেই পুলিশ তাদের উদ্ধার করল। মঙ্গলবার সকালে ইংরেজবাজারের অতুল মার্কেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পরে পুলিশ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার হাতে দুই ছাত্রীকে তুলে দিয়েছে। পুলিশ সুপার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্ত দুই যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সঙ্ঘমিত্রা সাঁতরা বলেন, “গাজলে নারী পাচারকারীরা খুব সক্রিয়। এর আগেও পাচারের ঘটনা ঘটেছে। মেয়েরা যাতে বাইরের কারও সঙ্গে নিজেরা যোগাযোগ না রাখে তাই হস্টেলে মোবাইল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরেও এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আরও সতর্ক হচ্ছি।”
পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্রীদের তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেন। স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক প্রবীর মার্ডি জানান, ওই দুই ছাত্রী হস্টেলের ঘর থেকে পালানোর সময় দরজাটি বাইরে বন্ধ করে দেওয়ায় কেউ বাইরে বার হতে পারেনি। এদিন সকালে দু’জনকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা যায়। গাজল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ মালদহ থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়ার পর দুই ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছে, মোবাইলে দুটি ছেলের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। তারা বিয়ে করবে বলে হস্টেল থেকে পালাতে বলেছিল। সেইমত রাতে হস্টেল থেকে পালিয়েছিলাম। রাতে বিয়ে করে একটি হোটেলে আমাদের রাখে। এদিন মালদহের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাস ধরতে বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছিলাম। আমাদের বসিয়ে রেখে ওরা দু’জন বাসের খোঁজ নিতে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বাসস্ট্যান্ডের এককোণে দুটি মেয়েকে একা বসে থাকতে দেখে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দুইজনেক উদ্ধার করে। স্কুল কর্তৃপক্ষের হাত থেকে মেয়েদের ফিরে পেয়ে আশ্বস্ত হয়েছেন তাদের পরিবারের লোকজন। |