পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ে রাহুল গাঁধী মডেল অনুসরণ করছে জেলা কংগ্রেস। নির্বাচন যখনই হোক চলতি মাসের মধ্যেই জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা কংগ্রেস। লোকসভা বিধানসভায় তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়ার পরে পঞ্চায়েত একা লড়তে যাতে বেগ পেতে না হয় সে কারণে প্রার্থী তালিকা বাছাইয়ে বেশ কিছু যোগ্যতা নির্ধারণ করেছেন জেলা নেতৃত্ব। জেলা পরিষদের প্রার্থীদের বাছাইয়ে ইন্টারভিউ এর অন্যতম।
লোকসভা ভোটে যুব কংগ্রেসের রাহুল বিগ্রেডের প্রার্থী কারা হবেন তা স্থির করতে প্রার্থীদের দলীয় ইন্টারভিউ বোর্ডের সামনে বসতে হয়েছিল। জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে প্রার্থীদের তেমনই ইন্টারভিউ দিতে হবে। সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা তৈরির পরে, তাদের ইন্টারভিউতে ডাকবেন দলের জেলা নেতৃত্ব। সেখানে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হবে। সেই উত্তরগুলি বিবেচনা করেই চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম স্থির করা হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। কী ধরণের প্রশ্ন হবে প্রার্থী পদের পরীক্ষায়?
কেন্দ্রীয় সরকারের যে সব গ্রাম উন্নয়নের প্রকল্প আছে সেগুলি সম্পর্কে কতখানি ধারণা রয়েছে, এলাকায় তিনি কী পদ্ধতিতে জনসংযোগ করেন, এবং এলাকার সম্পর্কে তাঁর কতখানি ধারণা রয়েছে এবং সেই সমস্যা সমাধানে তাঁর কোনও উপায় ভাবা রয়েছে কি না, এর আগে স্থানীয় এলাকায় দলের কতগুলি কর্মসূচিতে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বা যোগ দেন কি না এমন তথ্য জানতে চাওয়া হবে।
জেলা নেতৃত্বের এ সিদ্ধান্তের কথা উঠে এসেছে প্রদেশ থেকে পাঠানো পর্যবেক্ষকের কথাতেই। জলপাইগুড়ি ও মালবাজার মহকুমায় প্রদেশ কংগ্রেস পর্যবেক্ষক নির্মলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যারা প্রার্থী হবেন তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের যে সব উন্নয়ন প্রকল্প চলছে সেগুলি সম্পর্কে কতটা ধারণা রয়েছে সেটি দেখে নেওয়া হবে। জেলা বা রাজ্য থেকে কোনও প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়া হবে না। যাঁর যোগ্যতা রয়েছে তাকে প্রার্থী করা হবে। জলপাইগুড়িতে কংগ্রেস একক ভাবেই লড়বে।”
এক দিকে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট, অন্য দিকে শাসক দল তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে যাতে গলদ না থাকে সে জন্য নেতৃত্বের এ সিদ্ধান্ত বলে নেতারা জানাচ্ছেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহন বসু বলেন, “প্রার্থীদের নাম অবশ্য বুথ থেকে উঠে আসতে হবে, না হলে শুধুমাত্র দলীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে কাউকে প্রার্থী করা হবে না। এবং প্রথমে জেলা পরিষদের প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হবে। এই বাছাই প্রক্রিয়াকে নিঁখুত করতে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা দলীয় নেতৃত্বের মুখোমুখি ইন্টারভিউয়ে বসতে হবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের।” জেলা সভাপতি মোহনবাবুর কথায়, “রাহুল গাঁধী যে পদ্ধতিতে লোকসভা ভোটের আগে যুব প্রার্থীদের বাছাই করেন, এ বার প্রায় সেই পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে।” |