টুকরো খবর |
পূর্বেও সেচের অভাবে চাষে ক্ষতির আশঙ্কা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
বিদ্যুতের অভাবে পর্যাপ্ত জলসেচ না হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে এগরার বোরো ধান ও বাদাম চাষ। কৃষি দফতরের হিসাবে ইতিমধ্যেই কুড়ি শতাংশ ধান এবং দশ শতাংশ বাদাম নষ্ট হয়েছে। এই ক্ষতির পরিমান আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কৃষি দফতরের। এগরা মহকুমার সহ কৃষি অধিকর্তা কল্লোলকুমার পাল বলেন, “প্রায় এক মাস ধরে নিয়মিত বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি থাকায় জলসেচে সমস্যা দেখা দিয়েছে। জলের অভাব ও তীব্র রোদে বহু জায়গায় মাঠ, মাঠের ধান গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। আবার কোথাও ধান থেকে দিয়েছে অপুষ্ট। এতে ধানের উৎপাদন যেমন কমবে, তেমনি কমবে ধানের গুণগত মান। ফলে দু’দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষিরা।” সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের কৃষি অধিকর্তা পরিতোষ ভট্টাচাযর্, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মামুদ হোসন বলেন, “চাষিদের কথা ভেবে আমরা কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটককে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছি।” মহকুমার পাঁচটি ব্লকের ৪২টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চাষ হয়েছে। তার মধ্যে এগরা ১ ব্লকের ২টি পঞ্চায়েত বাদ দিয়ে বাকি সব পঞ্চায়েতেই চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহকুমায় মোট বোরো ধান চাষ হয়েছে ৪০ হাজার ৪৩০ হেক্টর। তার মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমি। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ভগবানপুর ১, পটাশপুর ১ ও এগরা ২ ব্লকে। চিনাবাদাম চাষ হয়েছে মোট ১৫,৩৪২ হেক্টর জমিতে। ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬০০ হেক্টর জমির চাষ। ভগবানপুরের ১ ব্লকের বিভীষণপুর গ্রামের কালিপদ বাগের আক্ষেপ, “পাম্প বসিয়ে চাষ করেছিলাম। পাম্প থেকে জলসেচে নির্ভরশীল চাষিদের সকলেরই জমি শুকিয়েছে।” পটাশপুর ১ ব্লকের পালপাড়া ভেড়ি গ্রামের ভরত দাস, চিস্তিপুর ভেড়ি গ্রামের অসিত আদক-রা বলেন, “ঋণ নিয়ে চাষে নেমেছিলাম। মাঠের যা অবস্থা তাতে ধান হলেও নিজেদের মজুরিই উঠবে না।” তাঁরা সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
|
হেমচন্দ্র স্মরণানুষ্ঠান জন্মভিটেয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী হেমচন্দ্র কানুনগোর ৬৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নায়ায়ণগড়ের রাধানগর গ্রামে হেমচন্দ্রের ভিটেয় ‘হেমচন্দ্র সাহিত্য সভা’র উদ্যোগে সোম ও মঙ্গলবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সোমবার সাহিত্যসভার পক্ষ থেকে ক্রীড়া ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিনপুরের প্রাক্তন বিধায়ক চুনিবালা হাঁসদাকে ‘দ্রোণাচার্য স্মৃতি পুরস্কার ২০১৩’ দিয়ে সম্মানিত করা হয়। উন্নয়ন-কাজে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পাণ্ডাকে ‘অভিরাম স্মারক পুরস্কার’ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ‘হেমচন্দ্র সাহিত্যসভা’র দশম বর্ষ সাহিত্যবাসরের উদ্বোধন করেন কবি আবুল মাজান। হেমচন্দ্র সাহিত্য সভার সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর সাঁতরা বলেন, “সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদের অন্যতম নায়ক হেমচন্দ্র কাননুগোর ত্যাগ ও অবদানের কথা বাঙালি ভুলতে বসেছে। সরকারি স্তরে তাঁর স্মৃতি রক্ষার জন্য কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। হেমচন্দ্রের বাস্তুভিটেটিকে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণার দাবিতে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হবে।” ১৯০১ সালে মাদাম কামার সান্নিধ্যে এসে মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুলের অঙ্কন-শিক্ষক হেমচন্দ্র কাননুনগো সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হন। পরে অনুশীলন সমিতির সদস্য হন তিনি। ক্ষুদিরামের বোমা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ১৯০৮ সালে হেমচন্দ্র গ্রেফতার হন। বিচারে দোষী সাব্যস্ত হয়ে আন্দামানে দ্বীপান্তর হয় তাঁর। সেখানে জেলবন্দি ছিলেন দীর্ঘদিন। মুক্তি পান ১৯২১ সালে। ১৯৫১ সালের ৮ এপ্রিল মেদিনীপুর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
|
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে হামলা চন্দ্রকোনায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
জমি-সহ বেশ কিছু সম্পত্তি কিনে পরিবারটি সামাজিক বয়কটের মুখে পড়েছিল আগেই। তার জেরে অশান্তিতে এলাকায় বসেছিল পুলিশ পিকেটও। মঙ্গলবার দুপুরে চন্দ্রকোনার বাসুলিয়ায় ওই পরিবারে উপর এ বার এলাকার বাসিন্দারা লাঠি, লোহার রড নিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে হামলা চালাল। ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ওই গ্রামের বিধবা মহিলা পুষ্পরানি ঘোষের কাছ থেকে প্রশান্ত ঘোষ এবং ত্রিলোচন ঘোষ নামে দুই ভাই জমি-সহ বেশ কিছু সম্পত্তি কেনেন। অভিযোগ, সেই সম্পত্তিতে নজর ছিল পুষ্পরানিদেবীর এক আত্মীয়েরও। প্রশান্তবাবুর অভিযোগ, “এলাকারই কিছু মানুষ ঠকিয়ে কেনা হয়েছে এই অভিযোগে আমাদের দিনের পর দিন হেনস্থা করে চলেছেন। সালিশি সভা ডেকে আমাদের সামাজিকভাবে বয়কটও করা হয়েছে। সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার হুমকি না মানায় মঙ্গলবার ফের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। বৃদ্ধা মাকেও মারধর করা হয়।” বাসুলিয়া গ্রাম কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূলের ওই বুথের সম্পাদক জয়দেব রায় অবশ্য বলেন, “পুষ্পদেবীর লিখিত অভিযোগ জানানোয় গ্রামের মানুষ এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।” পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। নামে র্যাফ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
|
স্টেডিয়ামের উন্নয়নে ৫ কোটি এইচডিএর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
শহরের দুর্গাচক স্টেডিয়ামের উন্নয়নে উদ্যোগী হল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ(এইচডিএ)। আগামী অগস্টের মধ্যেই পরিকল্পনা রূপায়ণের পরিকল্পনা নিয়েছে পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। বাম আমলেই দুর্গাচকের সুপার মার্কেটের বিপরীতে গড়ে ওঠে স্টেডিয়ামটি। উদ্বোধন করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। তিনদিকে গ্যালারি বিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামটি বেশ কয়েক বছর ঠিক থাকলেও সংস্কারের অভাবে তা ভগ্নপ্রায় হয়ে পড়ে। ইদানীং শিল্পনগরীতে ক্রীড়ানুষ্ঠানের ছাড়াও বেড়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অধিকাংশই হয় এই স্টেডিয়ামে। তাই এর উন্নয়নে নড়ে বসেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। এইচডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কারের কাজ কিছুটা এগিয়েছে। স্টেডিয়ামের চারপাশে ‘ফ্লাড লাইট’ লাগানোর জন্য বরাদ্দ হয়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা। এখন আলোর ডিজাইনারের খোঁজ চলছে। পর্ষদের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার অলোকেশ গুছাইত বলেন, “কোন পর্যায়ের খেলার জন্য আলো ব্যবহার করা হবে তা ঠিক হয়নি।” এই সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার মানুষও। স্থানীয় প্রাক্তন ফুটবলার কিঙ্কর মাইতির কথায়, “নতুন রূপে স্টেডিয়াম সাজলে স্থানীয়রা আগ্রহ দেখাবে।” এইচডিএ’র সিইও পি উলগানাথন জানান, “কটা ফ্লাড-লাইট লাগানো হবে তা ডিজাইনারের উপরে নির্ভরশীল। খুব তাড়াতাড়ি স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হবে।”
|
মিলল বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
বেহাল সুজালপুর প্রগতি সঙ্ঘ পাঠাগারের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য একলক্ষ টাকা বরাদ্দ করল কাঁথি-১ ব্লকের দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুপ্রভা নায়ক জানান, বরাদ্দকৃত টাকায় বেহাল পাঠাগারের সংস্কার শুরু করা হবে। সুজালপুরে একটি দেবোত্তর জায়গার উপর ১৯৬৫ সালে একটি দো-চালায় প্রগতি সঙ্ঘ পাঠাগার চালু হয়। পরে সেখানেই একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালু হওয়ার পর থেকে পাঠাগার আর অঙ্গনওয়াড়ি এ দুটিই চলছে পাশাপাশি। পাঠাগারে হাজার চারেক বই থাকলেও অর্ধেকের বেশি উই-এ খেয়েছে। পাঠাগারের সদস্য সংখ্যাও ১৭৫ থেকে ঠেকেছে মাত্র ৪ জনে। গত ৭ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন গ্রন্থাগারের বেহাল অবস্থা নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল এই পাঠাগার। এরপরই প্রশাসনিক মহলে শোরগোল ওঠে। কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মলয় সামন্ত জানান, ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল গ্রন্থাগারটি পরিদশর্ন করে গিয়েছে। ভেঙে পড়া টালির চাল তুলে লোহার ফ্রেমে অ্যাসবেস্টার বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাঠাগারের অবস্থার উন্নয়নে বরাদ্দ পেয়ে খুশি সদস্যরাও। তাঁরা বলেন, “পাঠাগারটি নতুন রূপ পেলে গ্রামবাসীরাই শুধু উপকৃত হবেন না। পাঠাগারটির সদস্য সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
|
শুভেন্দুর সভা ও পদযাত্রা নয়াগ্রামে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রেল বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রামে পদযাত্রা ও সভা করলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সভাপতি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বেলদা-নয়াগ্রাম-বারিপদা এবং লালগড়-ভাদুতলা-সহ জঙ্গলমহলের জন্য একাধিক রেল প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়েছিলেন। কয়েকটি প্রকল্পের সমীক্ষাও হয়েছিল। কিন্তু কংগ্রেসের রেলবাজেটে এবার জঙ্গলমহলকে চূড়ান্তভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই শুরু করারও ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুভেন্দুর দাওয়াই, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের নেতারা প্রার্থী জোগাড় করতে এলে তাঁদের জল-শরবত খাইয়ে আপ্যায়ণ করবেন। পাশাপাশি, জঙ্গলমহলে রেল বঞ্চনার কৈফিয়ত চাইতে ভুলবেন না।” এ দিন নয়াদিল্লিতে অমিত মিত্রের উপর এসএফআইয়ের হামলা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “সিপিএম নয়াদিল্লিতে যা করল এর মাশুল দিতে হবে।”
|
নকল মাথার তেল, গ্রেফতার ব্যবসায়ী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
এক প্রসিদ্ধ সংস্থার ‘হেয়ার অয়েল’ নকল করে বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দাঁতন থানার তকিনগর গ্রামের বাসিন্দা ধৃত গৌতম নাগকে মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়। সোমবার সংস্থার তরফে অভিযোগ পেয়ে গৌতমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানিয়েছে, খড়্গপুরের এক ব্যবসায়ী তাঁকে ওই নকল তেল, প্যাকেট ও বোতল দিতেন। মূল অভিযুক্তের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
|
গাজন নিয়ে বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
ওড়িশার চন্দনেশ্বরের গাজন উৎসব উপলক্ষে দিঘার কাছে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম নিয়ে বৈঠক করলেন বাংলা ও ওড়িশা পুলিশ-প্রশাসন। সোমবার বিকেলে দিঘায় আয়োজিত এই বৈঠকে গাজনের সময় চন্দনেশ্বর ও দিঘার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান কাঁথির এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু। উপস্থিতি ছিলেন দুই রাজ্যের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট, এসডিপিও, ওসি এবং পঞ্চায়েতের কর্মকর্তা প্রমুখ। |
|