|
|
|
|
তৃণমূল নেতা খুনে ধৃত কমিটির সদস্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রামের তৃণমূল নেতা লালমোহন মাহাতোর খুনের ঘটনার অন্যতম এক ‘চক্রী’কে গ্রেফতার করল সিআইডি। ধৃত বছর পঁয়তাল্লিশের মৃণাল মাহাতো ওরফে বাবলুর বাড়ি ঝাড়গ্রামের বাঘুয়াদাম গ্রামে।
সিআইডির দাবি, সোমবার গভীর রাতে ওই গ্রাম থেকেই বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় দেড় বছর ধরে তিনি ফেরার ছিলেন বলে সিআইডির দাবি। এক সময় জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের মদতপুষ্ট জনগণের কমিটির সদস্য ছিলেন বাবলু। মঙ্গলবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে বাবলুকে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে ৬ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ হয়। অভিযুক্তের আইনজীবী হিমেল ছেত্রী এ দিন বলেন, “মামলার এফআইআর-এ অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতীর উল্লেখ রয়েছে। সন্দেহ ভাজন ষড়যন্ত্রী হিসেবে তিনজনের নাম রয়েছে। তার অন্যতম হলেন বাবলু। তিনি গ্রামের বাড়িতে থেকে চাষবাস করতেন। পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে খুনের মামলায় জড়ানো হয়েছে।” ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে ঝাড়গ্রামের পুকুরিয়ায় মাওবাদীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূলের সাপধরা অঞ্চল সভাপতি লালমোহন মাহাতো। ওই দিন নিজের কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হন লালমোহনবাবু। মোটর সাইকেলে আসা পাঁচজন হামলাকারী লালমোহনবাবুকে লক্ষ করে এলেপাথাড়ি গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই দিনই ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন লালমোহনবাবুর দাদা পরমেশ্বর মাহাতো। অভিযোগপত্রে পরমেশ্বরবাবু জানান, অজ্ঞাত পরিচয় পাঁচ সশস্ত্র দুষ্কৃতী মোটর সাইকেলে এসে তাঁর ভাইকে গুলি করে খুন করে। ওই ঘটনায় মৃণাল মাহাতো ওরফে বাবলু-সহ তিন জন সন্দেহভাজন চক্রীর নাম দিয়েছিলেন পরমেশ্বরবাবু। মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। ঘটনার পর পরই সন্দেহভাজন দুই ‘চক্রী’কে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। কিন্তু ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সিআইডি আদালতে চার্জশিট দাখিল করতে না-পারায় দু’জনেই জামিনে ছাড়া পেয়ে যান। |
|
|
|
|
|