|
|
|
|
ছোট আঙারিয়া মামলা |
অভিযুক্ত পক্ষ হাইকোর্টে, ফের পিছোল শুনানি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শুরু হতে না হতেই ফের পিছিয়ে গেল ছোট আঙারিয়া মামলার শুনানি। আপাতত এক মাস সাত দিনের জন্য। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১৬ মে।
অভিযুক্ত দিল মহম্মদের আইনজীবী হাইকোর্টে যেতে চাওয়ার প্রেক্ষিতেই শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, পরিকল্পনা করেই অভিযুক্তপক্ষ মামলা পিছিয়ে দিতে চাইছে। এতে সিপিএমের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ মানতে চাননি।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে এই ‘গণহত্যা’ মামলার পুনরুজ্জীবন ঘিরে ইতিমধ্যে সাড়া পড়েছে। সোমবারই মেদিনীপুর আদালতে সাক্ষ্য দেন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বক্তার মণ্ডল। বিচারককে তিনি জানান, ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি তাঁর চোখের সামনেই পাঁচ জনকে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ বছর আগে মামলার শুনানির সময় সিপিএম নেতাদের হুমকির ভয়ে তিনি আদালতে সত্যি কথা বলতে পারেননি বলেও দাবি করেন বক্তার। |
|
হল না সাক্ষ্যগ্রহণ। স্ত্রী আয়েশা বিবির সঙ্গে মেদিনীপুর
আদালতে বক্তার মণ্ডল। রামপ্রসাদ সাউয়ের ছবি। |
সোমবার শুনানি চলাকালীন আদালতে দু’টি আর্জি জানিয়েছিলেন মামলায় অভিযুক্ত দিল মহম্মদের আইনজীবী বিশ্বনাথ ঘোষ।
প্রথমত, একইদিনে আসিয়া বিবি, রফিক মণ্ডল ও সিদ্দিক মণ্ডলের সাক্ষ্য নেওয়া হোক। এঁরা তিন জন এই মামলায় আগেও সাক্ষ্য দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, পাঁচ বছর আগে বক্তার কী বলেছিলেন, সে কথা কেন এখন জেরার সময় তোলা হচ্ছে, সেই প্রশ্নও তোলেন বিশ্বনাথবাবু। এ ক্ষেত্রে তাঁর আর্জি ছিল, আগের শুনানি সম্পর্কিত কথাবার্তা এখন লিপিবদ্ধ করা যাবে না।
মঙ্গলবার অবশ্য দু’টি আবেদনই খারিজ করে দেন মেদিনীপুরের পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। সেই সঙ্গে বক্তারকে জেরা করতে (ক্রস এক্সামিন) নির্দেশ দেন বিশ্বনাথবাবুকে। আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যেতে চেয়ে আর্জি জানান দিল মহম্মদের আইনজীবী। তিনি জানিয়ে দেন, যেহেতু বিচারকের নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাচ্ছেন, তাই আর সাক্ষীকে জেরা করবেন না। এরপরই ৪৫ দিন সময় চান বিশ্বনাথবাবু। বিচারক এক মাস সময়ের আর্জি মঞ্জুর করে ১৬ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।
এ দিন বক্তারকে জেরা করার কথা ছিল দিল মহম্মদের আইনজীবীর। সঙ্গে বক্তারের স্ত্রী আয়েশা বিবির সাক্ষ্যদানেরও কথা ছিল। বক্তার তাই সস্ত্রীক এ দিন আদালতে হাজির ছিলেন। তবে হাইকোর্টে যাওয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা আর এগোয়নি। দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে মামলা শুরু হতেই ফের পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি তথা বক্তারের আইনজীবী প্রদ্যোৎ ঘোষ বলেন, “এ ভাবেই শুনানি পিছিয়ে দিতে চাইছেন দিল মহম্মদদের আইনজীবী। ওঁদের আশা, আবার কোনও সময় রাজ্যে পরিবর্তন আসবে। ততদিন মামলা পিছিয়ে নিয়ে যেতে পারলে, আবার গলায় বন্দুকের নল ঠেকিয়ে মিথ্যে সাক্ষ্য আদায় করে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করবে।”
এই পরিস্থিতিতে এক মাস পরে হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সে দিকেই সকলে তাকিয়ে।
|
পুরনো খবর: আদালতে ‘গণহত্যা’র বিবরণ দিলেন বক্তার |
|
|
|
|
|