|
|
|
|
|
‘অপরাধবোধ নয়, আমি প্রচণ্ড হতাশায় ভুগছি’
রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায় • বেঙ্গালুরু |
|
কথা বলার ফাঁকে মাঝে মধ্যেই মুখের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। ঠোঁটে হাসি একটা লেগে বটে, কিন্তু সেটা হর্ষের নয়, বিষাদের। যন্ত্রণার। অস্ফুটে একবার বলেও ফেললেন, “এত খারাপ লাগছে যে কী বলব? করতে গেলাম এক। হল আর এক।”
সদাহাস্যময়, হুল্লোড়বাজ আইরিশ যুবককে দেখলে মন খারাপ হয়ে যাবে আপনা-আপনি। একটা ঢিলে টি শার্ট, ট্রাউজার গায়ে চড়িয়েছেন কোনও মতে। ট্র্যাভেল করার সময় সাধারণত কানে ইয়ারফোন গুঁজে গান শুনে কাটিয়ে দেন। কিন্তু মঙ্গলবার জয়পুর-বেঙ্গালুরু ফ্লাইটে ওয়েন মর্গ্যানকে কেউ সে সব করতে দেখেননি। কেন? উত্তর আসছে, “ইচ্ছে করছে না কিছু, তাই।”
অপরাধবোধে ভুগছেন? ম্যাচটা তো প্রায় বার করেই ফেলেছিলেন আপনি। কিন্তু ওই মোক্ষম মুহূর্তে বোল্ড...।
প্রশ্নটা শুনে শুকনো হাসি। বেঙ্গালুরুর টিম হোটেলে বসে মর্গ্যান শেষে বলে ফেললেন, “নাহ্। অপরাধবোধ নয়। ভুল থেকেই তো মানুষ শেখে। আমিও ভবিষ্যতে শিখব। তবে এটা ঠিক যে প্রচণ্ড হতাশ লাগছে। টিম আমাকে যে কাজ করতে পাঠাল, সেটা শেষ করে আসতে পারলাম না। উচিত ছিল, ম্যাচটা শেষ করে আসা।” কিন্তু ১৩ বলে দরকার ২৬ এই অবস্থায় ফাইন লেগের মাথার উপর দিয়ে স্কুপ করার খুব দরকার ছিল কি? “আসলে তখন মনে হয়েছিল, স্কুপে কাজ হবে। অন্য দিন দেখবেন, ওই শটেই বাউন্ডারি পাচ্ছি। তবে এটাও ঠিক যে সুযোগ যখন এ বার পাচ্ছি, আমাকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে।” |
|
মর্গ্যান: নতুন যুদ্ধের প্রস্তুতি |
আইপিএল ফাইভ ডাগ আউটে বসেই কেটেছে। পেপসি আইপিএলে দু’টো ম্যাচের দু’টোতেই নামলেন, রাজস্থানের বিরুদ্ধে নাইট-ব্যাটিংয়ের মহাতারকাদের ব্যর্থতায় মহানায়ক হওয়ার সুযোগও পেলেন রাতারাতি। কিন্তু মুহূর্তের ভুলে ৩৮ বলে ৫১ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসেরও সাড়ে বারোটা, সঙ্গে টিমের মননেও বড়সড় ধাক্কা।
আটচল্লিশ ঘণ্টা পর ক্রিস গেইলের বেঙ্গালুরু সামনে। সামলে ওঠা যাবে? কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে মর্গ্যানের জবাব, “সামলে উঠতে হবে। দেখুন, দিল্লি ম্যাচটা জেতার পর যে গতিতে আমরা এগোচ্ছিলাম, তাতে ধাক্কা একটা লেগেছে ঠিকই। মুশকিল হচ্ছে জয়পুরে পুরো ব্যাটিং ইউনিটটাই ক্লিক করল না। পরের পর উইকেট পড়ল। উইকেট নিয়ে যতই কথা হোক একশো চুয়াল্লিশ পেরনো যেত না বলে আমি মনে করি না। আর রাজস্থান ঘরের মাঠে খেলছে। নিজেদের সুবিধা মতো উইকেট তো বানাবেই। আমরাও তো কলকাতায় খেললে পছন্দের উইকেট পেয়ে থাকি। এতে অন্যায়টা কোথায়?” প্রত্যাবর্তনের প্রেসক্রিপশনও ঠিক করে দিচ্ছেন মর্গ্যান। নিজের ঘরে ঢুকে যাওয়ার আগে মর্গ্যানের পরিষ্কার মন্তব্য, “আমাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে। যে ভাবে আমরা আইপিএল ফাইভ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, যে ভাবে দিল্লি ম্যাচটা জিতেছি, ওটাই আমাদের খেলার প্যাটার্ন। আমরা যেটা ভাল পারি, যে ভাবে পারি, সেটাই রিপিট করা ভাল। গেইল কত বড় প্লেয়ার, ও কী কী করতে পারে, ও সব ভেবে সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। গেইল যা করার করবে, আমরাও করব। তার পর যা হয়, হবে।” |
|
|
|
|
|