|
|
|
|
|
জিতলেও পন্টিংয়ের ব্যর্থতা চাপে রাখবে মুম্বইকে |
গেইলের ওষুধ নারিন,
কোহলির জন্য থাক অফ সাইড ফাঁদ
অশোক মলহোত্র |
|
চিন্নাস্বামীর জায়ান্ট স্ক্রিনে মঙ্গলবার যেটা ভেসে উঠল, তার বাংলা করলে দাঁড়ায়, ‘গেইল ঝড় আর আসছে না, পূর্বাভাস তেমনই’। কিছুক্ষণ আগে যে ওখানেই ভেসে উঠেছিল গেইল-স্টর্মের আগাম ঘোষণা। তাই এ বার ‘প্রায়শ্চিত্ত’ করতেই হল। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই যে বিরাটের ব্যাট চিন্নাস্বামীতে আর এক ঝড় তুলতে চলেছে, সে আর কে জানত?
কোহলির এই বিধ্বংসী পারফরম্যান্স দেখে অনেকেরই প্রশ্ন, বেঙ্গালুরুতে নাইটদের তা হলে কী হবে?
আমার কিন্তু মনে হচ্ছে, বেঙ্গালুরুকে নিয়ে এতটা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমি কিন্তু নাইটদের উপর বাজি ধরতে রাজি আছি। তবে অবশ্যই তার জন্য কয়েকটা শর্ত আছে।
যেমন ক্রিস গেইলকে শুরুতে আটকাও। এবং সে জন্য নারিনই হল আসল অস্ত্র। নারিনকে শুরুতেই আক্রমণে নিয়ে এসো। দু’দিন আগেই গেইলকে ফিরিয়ে দিয়েছিল হায়দরাবাদের হনুমা বিহারির অফ স্পিন! তা ছাড়া গেইল যেহেতু ওর স্বদেশীয়, তাই ওর দুর্বলতা নারিনের নিশ্চয়ই জানা। নারিনকে বল হাতে দেখলে কিন্তু চাপে পড়ে যাবে গেইল। একই ভাবে স্পিন দিয়ে চাপে রাখা যাবে ডেভিলিয়ার্সকেও। |
|
হরভজনের বুকে পন্টিং। দিল্লিকে হারিয়ে মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই। |
কিন্তু বিরাটের জন্য চাই অন্য ওষুধ। অফ স্টাম্প ফাঁদ। ওকে উইকেট টু উইকেট বল করা যাবে না। অফ স্টাম্প বা তার সামান্য বাইরে খেলাতে হবে। স্লিপ রাখতে হবে। ওকে দিয়ে যদি কাট বা স্কোয়ার ড্রাইভ করানো যায়, তা হলে বিরাট কোনও না কোনও সময় ভুল করে চান্স দেবেই। এই দায়িত্বটা মহম্মদ সামি বা ব্রেট লি-কেই নিতে হবে।
এমনিতে হয়তো বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইনে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান বেশি আছে, কিন্তু কেকেআরের ব্যাটিংয়ে গভীরতা বেশি। বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লেজ বেশ লম্বা। ছ’নম্বর থেকেই দলের বোলারদের নেমে পড়তে হচ্ছে ব্যাট হাতে। নাইটদের হয়ে লক্ষ্মী বা ভাটিয়া নামে সাত-আট নম্বরে।
মঙ্গলবার পেপসি আইপিএলে কয়েকটা দুর্দান্ত ইনিংস দেখলাম। প্রথমে বিরাট। তারপরে দীনেশ কার্তিক, রোহিত শর্মার। বিরাটের ৪৭ বলে ৯৩-এর কাছাকাছি আসবে কার্তিকের ৪৮ বলে ৮৬-র ইনিংসটা। রোহিতের ৫০ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংসটাও কম আকর্ষণীয় নয়। তবে মনে রাখতে হবে বিরাটের ইনিংসটা রান তাড়া করতে নেমে। ক্রিস গেইল মাত্র ১৩ রান করে ড্রেসিং রুমে ফিরে যাওয়ার পর তুমুল চাপ সামলে। এ শুধু বিরাটের পক্ষেই সম্ভব।
মুম্বই একবার দুশো তুলে দেওয়ার পর সহবাগহীন দিল্লির পক্ষে সম্ভব ছিল না ওই রানটা টপকে যাওয়ার। ওরা পারেওনি। হারল ৪৪ রানে।
কিন্তু মুম্বইকে চাপে রাখবে ওদের কিংবদন্তি ওপেনিং জুটি। ঘরের মাঠেও পন্টিং ০, সচিন ১। টুইটারে দেখছিলাম এক জন পোস্ট করেছে, সচিন-পন্টিং ওপেন করা মানে এখন ধর্মেন্দ্র-জীতেন্দ্রকে দিয়ে সিনেমা হিট করানোর চেষ্টা। ঘটনা হল, পন্টিং বিগ ব্যাশে যতই ভাল খেলুক, এখানে এসে উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে না। আর অধিনায়কের খারাপ ফর্ম টিমের উপর প্রভাব ফেলবেই। পন্টিং বরং ব্যাটিং অর্ডারে নেমে আসুক। সচিন বরং কার্তিক বা রোহিতকে নিয়ে ওপেন করতে পারে। তবে আইপিএলে সচিন রান আউট হলেই মুম্বই হারে, এই মিথটা এ দিন ভেঙে যাওয়ায় ভাল লাগল।
|
বিস্তারিত স্কোর... |
|
|
|
|
|