|
|
|
|
জমি বিলের জট রইল, ১৮ই ফের সবর্দল বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দ্বিতীয় দফার সর্বদল বৈঠকেও জমি বিল নিয়ে মতান্তর কাটল না। সরকারের প্রস্তাবিত নতুন বিল সংশোধনের জন্য বিজেপি নেত্রী তথা লোকসভার বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজ যেমন ১২ দফা নতুন সুপারিশ করেছেন, তেমনই কিছু সুপারিশ জমা দিয়েছে সিপিএম এবং এডিএমকে-ও। বিজেপির প্রস্তাব, বেসরকারি শিল্পের জন্য কৃষকদের কাছ থেকে লিজ চুক্তিতে জমি নেওয়া হোক। আর তৃণমূল কংগ্রেস তাদের বরাবরের অবস্থান ফের জানিয়ে বলে, শিল্প হোক বা সরকারি প্রকল্প জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না।
তবে বৈঠকের পর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ বলেন, আজকের বৈঠক আগের দিনের থেকে ইতিবাচক হয়েছে। সকলে অন্তত এ বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, বিলটি তাড়াতাড়ি পাশ করাতে হবে। স্থির হয়েছে, ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সব রাজনৈতিক দল তাদের লিখিত সুপারিশ সরকারকে দেবে। তার পর ফের ১৮ এপ্রিল সর্বদল বৈঠকে বসে সর্বসম্মতি গড়ে তোলার চেষ্টা হবে। জয়রাম বলেন, মতান্তরের বিষয়গুলি অনেকটাই কমানো গিয়েছে। এমনকী তৃণমূল নেতাদের এ কথাও জানানো হয়েছে, কৃষক স্বার্থ রক্ষার উদ্দেশ্যে তাঁদের প্রস্তাবগুলি সরকার বিবেচনা করবে। শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে রাষ্ট্রের অধিকার বিলোপ করতে চাইলে তাঁরা তা রাজ্যের আইনে করতেই পারেন। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রের বিলটির থেকে কোনও রাজ্য তাদের আইন লঘু করতে পারে না। তবে রাজ্যের আইন কঠোর করতে বাধা নেই।
বৈঠক যে বন্ধুত্বপূর্ণ বাতাবরণে হয়েছে তা দৃশ্যত স্পষ্ট ছিল। বৈঠকের পর তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে জয়রাম রমেশ ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথকে খোশগল্প করতে দেখা যায়। জয়রামের জন্মদিন ছিল আজ। তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তৃণমূল নেতারা। এডিএমকে নেতা মৈত্রেয়ন মজা করে বলেন, “আজ জয়রাম নবমীতে বিলটি নিয়ে কিছুটা এগোনো গেল, ১৮ তারিখ রাম নবমী। সেই দিন নিশ্চয়ই সর্বসম্মতি গড়ে উঠবে।” |
|
|
|
|
|