অভিযুক্ত মহিলা থানা
নির্যাতিতা নাবালিকাই লক আপে
হিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল দশ বছরের নাবালিকা। কিন্তু তাকেই লক আপের ভিতর পুরে দিলেন কতর্ব্যরত অফিসাররা। বেশ কয়েক ঘণ্টা সেখানেই কাটাতে হল তাকে। পরে স্থানীয় জনগণের রোষের মুখে পড়ে তাকে ছাড়েন পুলিশকর্মীরা। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দসহরের ঘটনা। নিন্দনীয় ওই ঘটনার জেরে দু’জন মহিলা কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দু’জন সাব ইনস্পেক্টরকে বদলিও করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে মিরপুর গ্রামের একটি ক্ষেতে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে ছিল ওই নাবালিকা। তার মা তাকে নিয়ে বুলন্দসহরের মহিলা থানায় ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে যান। মায়ের ধারণা, চব্বিশ বছর বয়সী স্থানীয় এক দুষ্কৃতীই ধর্ষণ করেছে তার মেয়েকে। সেই রাতে অভিযোগ নেওয়ার পরে মা-মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেন পুলিশকর্মীরা। পর দিন অর্থাৎ সোমবার ফের ওই থানায় হাজির হন মা ও মেয়ে। আর তখনই শুরু। মাকে প্রথমে জোর করে থানা থেকে বের করে দেন কর্তব্যরত কর্মীরা। আর তার পরই নাবালিকাকে লক আপের ভিতর ঢুকিয়ে দেন তাঁরা।
খবরটি প্রথম কানে আসে স্থানীয় এক সাংবাদিকের। থানায় গিয়ে কোনও রকমে লক-আপবন্দি নাবালিকার ভিডিও তোলেন তিনি। থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার গায়শ্রী চৌহানের বয়ানও রেকর্ড করা হয়। যেখানে এমন কোনও ঘটনার কথা সাফ অস্বীকার করছেন গায়শ্রী। সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানতে পারেন এসএসপি গুলাব সিংহ। গায়শ্রী এবং আর এক সিনিয়র ইনস্পেক্টরকে তড়িঘড়ি বদলির নির্দেশ দেন গুলাব। দু’জন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। ততক্ষণে শুরু হয়েছে গণপ্রতিবাদ। তার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। খুব শীঘ্রই তার শারীরিক পরীক্ষা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুরো ঘটনাটিকেই পুলিশের ‘সংবেদনশীলতার অভাব’ বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। প্রথমত, এ ক্ষেত্রে নারকীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক দশ বছর বয়সী নাবালিকা। সহমর্মী হওয়ার পরিবর্তে তাকে লক-আপবন্দি করা বাস্তবে আর এক নারকীয় নির্যাতনেরই নামান্তর। দ্বিতীয়ত, পুরো ঘটনাটিই ঘটেছে মহিলা থানায়। যেখানে কনস্টেবল থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ অফিসার সকলেই মহিলা। সেখানে এক মেয়েরই এমন হেনস্থা, আক্ষরিক অর্থেই নজিরবিহীন। বিশেষত মাস চারেক আগেই দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদের ঢল দেখেছিল গোটা দেশ, সেই ছবির সঙ্গে এই ঘটনাকে মেলাতে পারছেন না অনেকেই।
উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রীতা বহুগুণা জোশী পুরো ঘটনাটিকে ‘নিন্দনীয়’ আখ্যা দিয়ে দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন। সরব স্থানীয় মানুষও। মহিলাদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ নিতে থানায় মহিলা পুলিশ রাখাকে বাধ্যতামূলক করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু মহিলা থানাতেই নাবালিকার এ হেন হেনস্থার ঘটনা দেখে তাঁদের একাংশের দাবি, মহিলা পুলিশকর্মী নন, সংবেদনশীল পুলিশকর্মীর প্রয়োজন রয়েছে।
যিনি নারকীয় নির্যাতনের প্রতিকার করবেন সহমর্মী হয়ে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.