জেনারেটর চোর সন্দেহে ছয় বালক বালিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আসানসোলের কয়েকজন জেনারেটর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। পরে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বালক বালিকাদের উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে। গ্রেফতার করা হয়েছে ওই পাঁচ জেনারেটর ব্যবসায়ীকেও। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) অজয় প্রসাদ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে।
আসানসোল দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে দক্ষিণ থানার অন্তর্গত স্টেশন রোড লাগোয়া এলাকায় একটি কুঠুরিতে ওই পাঁচ বালক ও এক বালিকাকে হাত পা বেঁধে আটকে রেখে মারধর করেছেন জনাকয়েক ব্যক্তি। তাদের মাথা মুড়িয়ে, দেহের নানা যায়গায় লাটি গিয়ে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। পরে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষজন ভিড় জমান। ঘটনাস্থলে যায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশও। তারা ওই ছয় বালক বালিকাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আসে। আটক করা হয় পাঁচ ব্যক্তিকে। পরে তাদের গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা সকলেই জেনারেটর ব্যবসায়ী।
তবে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত এক জেনারেটর ব্যবসায়ী মহম্মদ ইজাজের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই আসানসোল বাজারে বসানো একাধিক জেনারেটরের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনা ঘটছে। সকালে জেনারেটর চালাতে এসে চুরির কথা জানতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অনুমান, রাতের অন্ধকারে এ সব যন্ত্রাংশ চুরি করে নেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে ওই ছয় বালক বালিকাকেও জেনারেটরের যন্ত্রাংশ চোর সন্দেহে পাকড়াও করে একটি কুঠুরিতে ঢুকিয়ে মারধর শুরু করা হয়। তবে এই ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে। যেমন, জেনারেটর ব্যবসায়ীরা যাদের মারধর করেছেন তাদের কাছ থেকে কোনও চুরির যন্ত্রাংশ মিলেছে কিনা? আর যদি চুরি যাওয়া যন্ত্রাংশ মিলেও থাকে তাহলে তাদের পুলিশ হেফাজতে না পাঠিয়ে নিজেরা মারধর করলেন কেন, সে প্রশ্নও উঠছে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আসানসোলের এসিপি (সেন্ট্রাল) অজয় প্রসাদ জানান, ওই বালক বালিকাদের কাছ থেকে চুরির যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়নি। কেন তাদের মারধর করা হয়েছে সে বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তদন্তের পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |