বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে কাজের খতিয়ান তুলে ধরতে সোমবার থেকে লিফলেট বিলি করে প্রচারে নামল আরএসপি পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভা। একমাস বাদেই, জুন মাসে বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেক্ষেত্রে ভোটে জলের বিষয়টি সামনে আসবে ধরে নিয়েই পুর কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই ওই লিফলেট বিলি শুরু করেছে।
বাসিন্দারা জানান, শহরের ১ নম্বর থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের খিদিরপুর, কংগ্রেসপাড়া, ঘাটপাড়া, বাসস্ট্যান্ড এলাকাগুলিতে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র হচ্ছে। শহরের বাসিন্দা শুভ্র ঘোষ, উৎপল বসাকেরা বলেন, “হস্তচালিত নলকূপ থেকে জল উঠছে না। সময়ে ট্যাপের জলও মেলে না। সমস্যা মেটাতে পুরসভার তরফে পরিকল্পনা নেই। বহু যুগ ধরে পিএইচইর ট্যাপ কলের জলই শহরের একাংশ বাসিন্দার ভরসা। সব ওয়ার্ডে তাও নেই।”
এই অবস্থায় বিরোধী কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস সমস্যাটিকে পুরভোটে হাতিয়ার করবে বলেও মনে করছেন আরএসপি পরিচালিত পুরসভার একাংশ। চেয়ারপার্সন তথা আরএসপি নেত্রী সুচেতা বিশ্বাস বলেন, “খবরের কাগজের মধ্যে আমরা লিফলেট বিলি করে নাগরিকদের বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহের বিষয়টি জানাচ্ছি। জলাধার তৈরি, পাইপলাইন বসানো এবং নদী থেকে জল উত্তোলন কেন্দ্র তৈরির জন্য দরপত্র ডাকা হয়েছে। বিরোধীরা প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে নাগরিকদের সব জানাতে ওই ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছি।”
তৃণমূল এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রায় দু’বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার বালুরঘাট শহরে নলবাহী পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পে ৪১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করে। পুরসভা ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে ওই প্রকল্পে গত বছর প্রথম দফায় ৯ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা পুরসভা পেয়েছে। সম্প্রতি শহরে ৪ টি জলাধার তৈরির কাজ শুরু হলেও আত্রেয়ী নদী থেকে জল উত্তোলন ও পরিশোধন কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হয়নি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, “ভাবমূর্তি উদ্ধারে পুরসভা লিফলেট প্রচারে নেমেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রচার করব।” আর তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায়ের অভিযোগ, “৬০ বছর আরএসপির দখলে থাকা পুরসভা পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ভুল বোঝানোর চেষ্টায় নেমেছেন পুর কর্তৃপক্ষ।” |