প্রয়োজনের তুলনায় চিকিত্সক এমনিতেই কম। তার মধ্যে আবার দু’জনের বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে। এমন অবস্থায় চিকিত্সক সঙ্কটে পড়েছে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
মন্তেশ্বরের ১৩টি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় আড়াই লক্ষ লোকের বাস। কিন্তু পুরো ব্লকে কোনও হাসপাতাল নেই। এক মাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিই ভরসা। কর্তৃপক্ষ জানান, এমনিতেই বর্হিবিভাগে প্রচুর রোগীর চাপ থাকে। তার পাশাপাশি ১৫টি শয্যা রয়েছে। এই চাপ সামলাতে যেখানে পাঁচ জন চিকিত্সকের প্রয়োজন, সেখানে ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ধরে বর্তমানে চিকিত্সক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। তাঁদের মধ্যে আবার দু’জনের বদলির নির্দেশ এসেছে। একজন যাচ্ছেন উচ্চশিক্ষায়। অন্যজন যাচ্ছেন মেডিক্যাল এডুকেশন সার্ভিসে। এক জনকে মঙ্গলবারই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এক জনকেও দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হবে। ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাকে এবং আর এক চিকিত্সককে প্রচুর রোগীর চাপ সামাল দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পরিষেবা ব্যাহত হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |
কৃষ্ণেন্দুবাবু আরও জানান, ব্লকের জন্য চুক্তি ভিত্তিক ভাবে এক চিকিত্সককে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি কোনও কারণে কাজে যোগ দেননি। আপাতত ধান্যখেড়ুর এবং ময়নামপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিত্সকেরা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এক দিন করে পরিষেবা দেবেন। তিনি জানান, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রসূতিদের ভরসার জায়গা। ২০১১ সালেই প্রায় ১৬০০ প্রসব হয়েছে এখানে। মহকুমা সহকারি স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষচন্দ্র মণ্ডল চিকিত্সক সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেছেন, “পরিস্থিতির কথা জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস মিলেছে।”
চিকিত্সকের সমস্যা ছাড়াও মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী এবং সুইপারের সংখ্যাও যথেষ্ট নয়। ৯ জন নার্স থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ৫ জন নার্স রয়েছেন। আট জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর জায়গায় রয়েছেন পাঁচ জন। ৪ জন সুইপারের জায়গায় মোটে দু’জন। কৃষ্ণেন্দুবাবু জানান, এই সমস্ত সমস্যাগুলিও আগেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। |