মুক্তি পাচ্ছেন ২২ জন বন্দি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বছরের পর বছর জেল খাটছেন, এমন ২২ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সোমবার মহাকরণে এ কথা জানান। তিনি বলেন, “এর আগে ১৪৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া ৫০ জন রাজনৈতিক বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হয়। এ বার পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে আরও ২২ জনকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” বন্দি মুক্তি কমিটির পর্যালোচনার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, “এই বন্দিদের সকলেরই বয়স ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে। আমরা চাই, এঁরা সকলেই মূল স্রোতে ফিরে আসুন, ভাল থাকুন।” দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা জেল খাটছেন, তাঁদের বয়স ও ব্যবহার বিবেচনা করে বিভিন্ন সময়েই মুক্তির কথা ভাবা হয়। বিভিন্ন সংগঠনও কিছু কিছু বন্দির মুক্তির দাবি জানায়। এ বার তেমনই কয়েক জন মুক্তি পেতে চলেছেন। |
পুরভোট নিয়ে রাজ্যকে ফের চিঠি কমিশনের |
জুনে ১৩টি পুরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা। সেই ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য রাজ্য সরকারকে সোমবার ফের চিঠি দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার। কমিশন ১৩ মার্চ প্রথম চিঠি দিয়ে সরকারকে বলেছিল, ওই ১৩টি পুরসভায় ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হোক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এ ক্ষেত্রেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দিন ঠিক করার কথা। রাজ্যের পুর দফতরের কর্তারা আগেই স্বীকার করেছেন, কমিশনের প্রথম চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে সিদ্ধান্ত জানতে না-পারায় পুর দফতর সেই চিঠির জবাব দিতে পারেনি। কমিশন-কর্তাদের মতে, সময় বেশি নেই। কারণ ভোটের দিন ঠিক করাটাই সব নয়। অন্য অনেক প্রস্তুতি চালাতে হয় এবং তার জন্য যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। ওই সব কাজের মধ্যে আছে ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিন্যাস। এই কাজটি চলছে। আছে ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং কেন্দ্র সংরক্ষণের বিজ্ঞপ্তি জারির মতো কাজও। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির পরে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তাই ফের চিঠি দিয়েছে কমিশন।
|
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে পদোন্নতি (ক্যাস), ষষ্ঠ বেতনক্রমের বকেয়া মেটানো-সহ এক গুচ্ছ দাবিতে রাজ্যের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা সোমবার মিছিল করেন। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)-র নেতৃত্বে কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল যায় মেট্রো চ্যানেল পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতিও এ দিন মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দাবিপত্র দেয়। একই দাবি জানিয়েছে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন (ওয়েবকুপা)-ও। তারা ছুটি সংক্রান্ত নতুন নিয়ম নিয়ে কর্মশালারও আয়োজন করে। |
পিএসসি-র প্যানেলভুক্ত হয়েও যাঁরা চাকরি পাননি, তাঁদের দ্রুত নিয়োগের আর্জি জানিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন প্রবীণ সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী। পিএসসি-র প্যানেলভুক্ত হয়েও যাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরে গ্রুপ ডি পদে নিযুক্ত হননি, তাঁরা নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি স্যাটে মামলাও করেছিলেন। স্যাট তাঁদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তাতেও এখনও কাজ হয়নি। তাই ভুক্তভোগীদের ‘অধিকার রক্ষা মঞ্চ’ রবিবার মহাশ্বেতা দেবীর দ্বারস্থ হয়। |