তিন বছর আগে এই ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল। বাঁকুড়ার জেলাশাসকের দফতর চত্বরের সেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন ভবনের ফের দ্বারোদ্ঘাটন হল সোমবার। আগের বার করেছিলেন বাম জমানার সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুস সাত্তার। এ দিন দ্বারোদ্ঘাটন করলেন শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
জেলা প্রশাসনের কিছু প্রবীণ কর্মী-অফিসার জানালেন, ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক তলা এই সংখ্যালঘু উন্নয়ন ভবনটির প্রথম দ্বারোদ্ঘাটন হয়েছিল। সম্প্রতি মাস ছয়েক আগে ওই ভবনটিকে ভেঙে নতুন করে গড়ার কাজ শুরু হয়। ভবনটি তিন তলা বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই কাজে প্রায় ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। |
বারবার: বাঁকুড়া জেলাশাসকের দফতর চত্বরে থাকা এই সেই সংখ্যালঘু উন্নয়ন ভবন। ছবি: অভিজিৎ সিংহ |
আপাতত দোতলার কাজ শেষ হয়েছে। দ্রুত তিন তলার কাজ শুরু হওয়ার কথা। তিন বছরের মাথায় একই ভবনের দ্বিতীয় বার দ্বারোদ্ঘাটন কেন? এই প্রশ্নের সঠিক জবাব মেলেনি। শ্যামবাবু বলেন, “এখানে আগে কোনও সংখ্যালঘু উন্নয়ন ভবন ছিল কি না, তা আমার জানা নেই।” জেলাশাসক বিজয় ভারতীর কাছ থেকেও নির্দিষ্ট ভাবে জবাব মেলেনি। সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক দেবারতি সরকার বলেন, “আমি সদ্য কাজে যোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।” এই ঘটনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে জেলা পরিষদের সিপিএম সভাধিপতি পার্থপ্রতিম মজুমদারের অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের ভাঁওতা দিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। আমাদের করা উন্নয়নমূলক কাজগুলিকেই ওরা নিজেদের কাজ বলে দেখাতে চাইছে।” |