গত বছর ১৪ জুন হাবরার বাণীপুর থেকে এক মহিলার গলাকাটা দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে তাঁর নাম মিনতি দাস (৩৮)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার পুরন্দপুর গ্রামে। তদন্তের সূত্র ধরেই রবিবার রাতে পুলিশ গাইঘাটারই বনবিবিতলা থেকে আলাউদ্দিন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে একটি চাকু। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আলাউদ্দিনের সঙ্গে মিনতিদেবীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দু’জনেই বিবাহিত। পুলিশ জানিয়েছে, হাবরা শহরে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দু’জনে ঘর ভাড়া করে থাকতেন। মহিলা তাঁর বাড়িতে জানিয়েছিলেন যে তিনি আয়ার কাজ করেন। দু’জনের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে আলাউদ্দিনের স্ত্রী মিনতিদেবীর বাড়িতে সব জানিয়ে দেন। এর পর থেকেই আলাউদ্দিন মিনতিদেবীকে এড়িয়ে চলতে থাকেন। কিন্তু মিনতি দেবী তা মানতে চাইছিলেন না। তদন্তকারী এক অফিসারের বক্তব্য, মিনতিদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে না পেরে তাঁকে বাণীপুরে নিয়ে গিয়ে চুরি দিয়ে গলার নলি কেটে খুন করে আলাউদ্দিন।
|
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বধূর। গুরুতর জখম হয়েছেন স্বামী। যদিও দুর্ঘটনার আঁচ লাগেনি তাঁদের সন্তানের গায়ে। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচনা নাগাদ বনগাঁর গোপালনগর থানার কল্যাণপুরে বনগাঁ-বাজিতপুর সড়কে ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন ভারতী রায় (৩০)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁর স্বামী সুনীলকে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন ভারতীদেবী স্বামী ও শিশুপুত্রকে নিয়ে নদিয়ার ধানতলায় শ্বশুরবাড়ি থেকে উ্তর ২৪ পরগনার কল্যাণপুরে বাপের বাড়ি যাচ্ছিলেন। একটি মোটরভ্যানে ওঠার সময় উল্টোদিক দিক থেকে আসা একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ভারতীদেবী। গুরুতর জখম হন স্বামী। তাঁদের সন্তান ছিটকে গিয়ে রাস্তার ধারে থাকা বালির স্তূপের উপরে পড়ায় বেঁচে যায়। গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ।
|
স্নান করতে নেমে হুগলি নদীতে তলিয়ে গেলেন বেহালার দুই যুবক। রবিবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে কুলপির হরিনারায়ণপুর গ্রামের কাছে। নিখোঁজেরা হলেন অমিত মল্লিক ও তাঁর আত্মীয় ভিকি নস্কর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে শনিবার ওই গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে এসেছিলেন অমিত। সঙ্গে ভিকি-সহ আরও কয়েক জন আত্মীয় ছিলেন। রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ সকলে নদীতে স্নান করতে নেমেছিলেন। তখন নদীতে জোয়ার চলছিল। সকলের সামনেই তলিয়ে যান অমিত ও ভিকি। দু’জনেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। আত্মীয়েরা চেষ্টা করেও তাঁদের উদ্ধার করতে পারেননি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। কিন্তু সোমবার রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি।
|
এক ইটভাটার শ্রমিকের দেহ উদ্ধার হল ভাটারই পাশের একটি মাঠ থেকে। রবিবার রাতে ক্যানিংয়ের উত্তর রেদোখালির ঘটনা। মৃতের নাম সুকান্ত সর্দার (৩২)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। পরিবারের সন্দেহ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক ভাবে মৃতদেহে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ভাটা মালিক-সহ তিন জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে ভাটার কাজ সেরে সুকান্ত বাড়ি না ফেরার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে তাঁরা দেহটি দেখতে পেরে পুলিশে খবর দেন। মৃতের কাকা বলরাম সর্দার বলেন, “ওই ভাটা থেকে পাওনা টাকা আনতে গিয়েছিল। মনে হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে খুন করে দেহটি মাঠে ফেলে দেওয়া হয়।” |