কয়েক কোটি টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে রবিবার রাতে গ্রেফতার হলেন তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। স্থানীয় মণ্ডপঘাটায় তার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম তুষার বিশ্বাস ওরফে তারক বলে পুলিশ জানিয়েছে। তিনি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বাগদার আষাঢ়ু পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হন। তাঁর বিরুদ্ধে ১০-১২ কোটি টাকা জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সোমবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে অতিরিক্ত মূখ্য বিচারক বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মুন চক্রবর্তী তাঁকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি অতীতে বাগদা ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন। বছর চারেক আগে তিনি একটি ভুুইফোঁড় আর্থিক সংস্থা খোলেন। ওই সংস্থা চড়া সুদের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করত। বাগদা, বনগাঁ, গাইঘাটা, নদিয়ার বহু মানুষ অতিরিক্ত অর্থের লোভে ওই সংস্থায় অর্থ জমা রাখতে শুরু করেন। কিন্তু সংস্থাটি তৈরির বছর কয়েক যেতে না যেতেই গ্রাহকরা সঠিক সময়ে অর্থ ফেরত পাচ্ছিলেন না। ক্ষুদ্ধ গ্রাহকেরা সংস্থার অফিসে হামলা করেন। চড়াও হন এজেন্টদের উপরেও। এরপর একদিন হঠাৎ সংস্থার অফিস বন্ধ হয়ে যায়। এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান তুষার বিশ্বাস।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০১০ ও ২০১১ সালে ওই সংস্থার এজেন্ট অমলকৃষ্ণ বিশ্বাস, গুরুদাস মণ্ডল ও বিশ্বেশ্বর মণ্ডল নামে দু’জন গ্রাহক তুষারবাবুর বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক জালিয়াতি ছাড়াও থানা ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনাতেও তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন,“তুষার যখন প্রধান ছিল তখনই ওকে আচরণ সংযত না করলে দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বারণ করা হয়েছিল। এরপর ভুইফোঁড় আর্থিক সংস্থার সঙ্গে ও যুক্ত হলে দল ওর সঙ্গে সর্ম্পক ছিন্ন করে।” |