আইনজীবী ও পুলিশের মধ্যে মারামারিতে উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাট আদালত চত্বরে। ঘটনাটি ঘটছে সোমবার দুপুরে। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের ৫ জন। একজন পুলিশ অফিসারকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “ঘটনাটির তদন্ত করা হচ্ছে। বসিরহাটে পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে বোঝাপড়ায় কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
আদালত ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে দুটি গাড়িতে করে আসামীদের বসিরহাট আদালতে নিয়ে আসা হয়। তাদের যখন কোর্ট লকআপে ঢোকানো হচ্ছিল তখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন আইনজীবী দীপক বিশ্বাস। পুলিশ কর্মীরা তাঁকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। এরপর আব্দুল ওয়ালিদ নামে এক আইনজীবী প্রতিবাদ করলে পুলিশ কর্মীরা তাঁকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। আব্দুল ওয়ালিদের দাবি, তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |
পুলিশ ও আইনজীবীদের মারামারি বেঁধে যাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে আদালত চত্বরে। ঘটনার পর আইনজীবীদের একাংশ আদালত চত্বরে ঢোকার গেট বন্ধ করে দেন। এসডিপিও, আইসি ও আইনজীবীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন বসিরহাট আদালতের বিচারকেরা। তাতে কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া না যাওয়ায় আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন।
আইনজীবী দীপক বিশ্বাসের অভিযোগ, “কেসের রেকর্ড দেখতে কোর্ট দফতরে যাওয়ার সময় এক পুলিশ অফিসার বাধা দেন। আমি আইনজীবী বলে পরিচয় দেওয়া সত্ত্বেও উনি আমার সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন। আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। তখন আব্দুল ওয়ালিদ নামে এক আইনজীবী তার প্রতিবাদ করেন।”
যদিও পুলিশের দাবি, বচসা চলার সময় আইনজীবীদের একাংশ পুলিশ কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই ঘটনায় আহত দোলতলা পুলিশ লাইনের এএসআই গোরাচাঁদ দেবনাথ বলেন, “গাড়ি থেকে আসামীদের নামানোর সময় বুঝতে না পেরে সেখানে থাকা এক আইনজীবীকে আমরা সরিয়ে দিই। এরপর আইনজীবীরা আমাদের উপর চড়াও হয়।”
বসিরহাট ফৌজদারি বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দেবব্রত গোলদার বলেন, “পুলিশের মারে দুই আইনজীবী আহত হয়েছেন। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে আমরা আইনত পদক্ষেপ নেব।” পুলিশকে মারধরের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন তিনি। |