শুধু নারিনই যে নাইটদের জেতাবে না, তা সোমবার জয়পুরের ম্যাচেই বুঝে যাওয়া উচিত গৌতম গম্ভীরদের।
নারিনকে ভোঁতা করতেই যে দ্রাবিড়রা এই উইকেট বানিয়েছিল, তাতে সন্দেহ নেই। ওদের আরও একটা সুবিধা ছিল। সবুজ উইকেটে আগুন ঝরানো পেস বোলিং।
নাইটদের ব্যাটিং লাইনে চোখ বোলালে মনে হবে, সাত-আট নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান। কিন্তু এই সব উইকেটে খেলতে হলে সেটা যে স্রেফ খাতায় কলমে, তা বোঝা গেল।
এই উইকেটে টেকনিকের দিক থেকে যথেষ্ট উন্নত ব্যাটসম্যানরা লড়তে পারবে। রাজস্থানের যেমন রয়েছে রাহানে, দ্রাবিড়, হজরা। নাইটদের মধ্যে ছিল গম্ভীর, কালিস এবং কিছুটা মর্গ্যান। কিন্তু প্রথম দু’জন ব্যর্থ হওয়ায় চাপটা আর নিতে পারল না বাকি ব্যাটিং। |
যদিও সামনে প্রচুর ম্যাচ। ভুল শুধরে নেওয়ার প্রচুর সুযোগ। তবে ভুলগুলো তাড়াতাড়ি শুধরে নিতে হবে নাইট ব্যাটসম্যানদের। না হলে সমস্যায় পড়তে হবে ওদের। নাইটদের পেস বোলিং অবশ্য আমাকে যথেষ্ট হতাশ করেছে। বুঝলাম না এমন সবুজ উইকেটে বালাজি কেন খেলল না। এটা কিন্তু একটা মাইনাস পয়েন্ট হয়ে যায় নাইটদের। তবে আমার ধারণা, ও পুরোপুরি ফিট নয় বলেই সামিকে নামানো হল। সামি ঠিকঠাক বলটা করলে হয়তো বালাজির অভাব টের পেতে দিত না। চেষ্টা করেনি, তা নয়। কিন্তু পুরোপুরি পারল না। আউট সুইংটা ভাল করাতে পারে সামি। এই উইকেটে ও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারত। সুযোগ তো আর বারবার আসে না। সিদ্ধার্থ, রাহুল শুক্ল, শন টেটরা যেমন আগুন ঝরাতে পারল, তা কলকাতার পেসাররা পারল না।
কেন নারিন এখন নাইটদের ভরসা, সেটা আরও একবার বুঝিয়ে দিল এই উইকেটেও ভাল বল করে। ইডেনের উইকেট ওর বোলিংয়ের পক্ষে উপযোগী। কিন্তু এই উইকেটেও যে ও ভাল বল করবে, তা অনেকেই ভাবতে পারেনি। একটা ওভারে মার খেয়ে গেল ঠিকই, কিন্তু দুটো উইকেট তুলে রাজস্থানের ব্যাটিংকে বড় রান তোলা থেকে আটকেও দিয়েছিল।
কিন্তু এর সঙ্গে যে সেই সমস্যাটাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। নারিন ছাড়া বিপক্ষকে থামানোর মতো অস্ত্র কোথায় নাইটদের? সমস্যার সমাধানটা কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি বের করতে হবে গম্ভীরদের। |