|
|
|
|
জননী সুরক্ষার টাকা না-পেয়ে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জননী সুরক্ষা যোজনার টাকা না-পেয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন মায়েরা। সোমবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।
যে সব মায়েদের জননী সুরক্ষা যোজনার কার্ড রয়েছে, তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধে পান। সন্তান প্রসব করার পর শহরবাসীর ক্ষেত্রে মায়েরা ৯০০ টাকা পান। গ্রামের ক্ষেত্রে ১ হাজার টাকা।
সোমবার বেলা দশটা থেকেই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট দফতরের সামনে মায়েরা লাইন করে দাঁড়ান। শুরুতে জানানো হয়েছিল, সকলেই টাকা পাবেন। তাড়াহুড়োর কোনও ব্যাপার নেই। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দফতরের কর্মীরা জানান, আর কাউকে টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তখন লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রায় ৩০ জন।
এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ। দফতরের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রাপক ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দেড়টা নাগাদ অ্যাকাউন্ট অফিসারের দফতরে গিয়ে দরবার করেন মায়েরা। সুপর্ণা বেহেরা বলেন, “সেই কবে থেকে প্রাপ্য টাকার জন্য ঘুরছি। ৯ মাস পেরিয়ে গেল। এখনও টাকা পেলাম না।” পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীপুর থেকে এসেছিলেন পল্টু সাউ। তাঁর স্ত্রী রিনা সাউয়ের জননী সুরক্ষা যোজনার কার্ড রয়েছে। পল্টুবাবুর কথায়, “পাব তো ১ হাজার টাকা। বাড়ি থেকে একবার যাতায়াত করতেই তো ৪০০ টাকা খরচ।” বিক্ষোভের পর নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্ট অফিসার আশ্বাস দেন, সকলকেই প্রাপ্য টাকা দেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অন্য ফান্ড থেকে এই টাকার ব্যবস্থা করেন। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?
হাসপাতাল সুপার যুগল কর বলেন, “প্রয়োজনীয় অর্থ চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে প্রয়োজন মতো অর্থ বরাদ্দ হয়নি। তাই কিছু সমস্যা হচ্ছে।” তবে জননী সুরক্ষা যোজনার ক্ষেত্রে এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদিব দাসের কথায়, “অর্থ রয়েছে। এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদি হয় থাকে তাহলে সেটা হাসপাতালের নিজস্ব ব্যাপার। খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের বক্তব্য, হাসপাতালে সব পরিষেবা মেলে না। বার জননী সুরক্ষা যোজনার টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও গড়িমসির অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই অস্বস্বিতে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|